অবিশ্বাস্য! ঘুঁটে দিচ্ছে ওটা কে! তন্ত্র সাধক যা দেখে ফেলেছিলেন….অবাক করবে মা আগমেশ্বরীর কাহিনী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : তন্ত্র সাধক সার্বভৌম আগমবাগীশ শান্তিপুরে প্রায় ৪৫০ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর আরাধ্যা দেবী মহাকালীর। তন্ত্র শাস্ত্রে অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল সার্বভৌম আগমবাগীশর। সম্পর্কে তিনি আবার ছিলেন তন্ত্রসার গ্রন্থ সংকলন কর্তা পন্ডিত কৃষ্ণানন্দ আগমবাগিশের প্রপুত্র। আগমবাগিশের নামানুসারে এই দেবীর নাম পরবর্তীকালে হয় ‘আগমেশ্বরী’ (Agameswari)।

‘আগমেশ্বরী’ (Agameswari) কালীকথা 

নবদ্বীপের বাসিন্দা কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ আগমেশ্বরী দেবীর সাধনা শুরু করেন। জানা যায়, ধ্যান যোগে তিনি দেখতে পান তাঁর আরাধ্য দেবীর মূর্তি। সেই মূর্তিকে তিনি আগমেশ্বরীর রূপে চিত্রিত করে শুরু করেন পুজো। ধ্যান যোগে থাকার সময় আগমবাগীশ আদেশ পান পরের দিন প্রত্যুষে তিনি  যাকে দেখতে পাবেন তিনি হবেন তাঁর আরাধ্য দেবী। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন কৃষ্ণবর্ণ এক মেয়ে হাতে গোবর নিয়ে ঘুঁটে দিচ্ছে দেওয়ালে।

আরোও পড়ুন : ফেরার কোনো পথই রইল না, প্রাক্তনের শেষ চিহ্ন শরীর থেকে মুছে সম্পর্ক ভাঙলেন শার্লি!

আগমবাগীশকে দেখে লজ্জায় জিভ কাটেন সেই নারী। কৃষ্ণানন্দ বুঝতে পারলেন এই হচ্ছে তাঁর আরাধ্যা দেবী কালী (Maa Kali)। তারপর গঙ্গা মৃত্তিকা দিয়ে তিনি তৈরি করেন দক্ষিণা কালী। সেদিনই পুজো সেরে তিনি মূর্তি বিসর্জন দিয়ে দেন নদীতে। কৃষ্ণানন্দ আগমবাগিশের প্রপুত্র সার্বভৌম আগমবাগীশ পরবর্তীকালে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিপুরে। সার্বভৌম আগমবাগীশ শশুরবাড়ির পূর্বে প্রতিষ্ঠা করেন পঞ্চমুন্ডির আসন।

Agameswari

সেখানেই সার্বভৌম আগমবাগীশ সাধনা করেন। সিদ্ধিলাভ করে তিনিও দেখা পেয়েছিলেন এক কালী মূর্তির। শান্তিপুরে এরপর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন আগমেশ্বরীর (Agameswari)। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী পুজোর দিনই বিসর্জন দেওয়া হয় ঘট। মূর্তি নিরঞ্জন হয় তারপর। আজও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ মনস্কামনা নিয়ে ছুটে আসেন শান্তিপুরের এই আগমেশ্বরীর কাছে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর