প্রিন্সিপালের চেয়ারে বসে তৃণমূল বিধায়ক, ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তুলকালাম রাজ্য রাজনীতি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে আসছে। খবরের শিরোনামে উঠে আসছেন একাধিক শিক্ষাঙ্গনের মূল স্তম্ভ শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে কলেজের অধ্যক্ষ-অধ্যক্ষরা। এবার ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল শান্তিপুর কলেজ। কিন্তু, হঠাৎ কী এমন হল শান্তিপুর কলেজে?

শান্তিপুর কলেজের একটি ছবি ইতিমধ্যেই বিজেপির অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের দৌলতে প্রকাশ্যে এসেছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী কলেজে প্রিন্সিপালের চেয়ার বসে আছেন। পাশে সোফায় বসে রয়েছেন অধ্যক্ষা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শান্তিপুর কলেজের এই ছবি ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই তুঙ্গে উঠেছে চর্চা।

এক জনৈক নেটনাগরিক লিখেছেন, “ওই চেয়ারের ঠিক পেছনে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি রয়েছে। হায়রে রাজনীতি! এই তৃণমূল শিষ্টাচার জানে না। শুধুমাত্র শিক্ষাজগতে রাজনীতিকরণ বোঝে। কি বলছেন তৃণমূল আশ্রিত শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, অভিভাবকরা?”

হঠাৎ কেন অধ্যক্ষা নিজের স্থান ত্যাগ করলেন এবং কীভাবে একজন বিধায়ক অধ্যক্ষের চেয়ারে বসতে পারেন সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিধায়ক অবশ্য বলেন, “কলেজের প্রথম যেদিন গর্ভনিং বডি তৈরি হয়েছিল সেদিন আমি গিয়েছিলাম। এই ছবিটি ১৮ তারিখ বেলা দেড়টা নাগাদ তোলা হয়েছিল। ওই দিন অধ্যক্ষা নিজের ঘরে কিছু কথাবার্তা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানান এবং বারবার অনুরোধ করেন ওই চেয়ারে বসার জন্য এবং তা প্রকাশ্যে। কিন্তু আমি প্রত্যেকবার বারণ করি। আমি তাঁকে বারবার বলি ওই চেয়ারে আমি বসতে পারি না। তিনি আমাকে নিতান্ত মানবিকতার সহিত হাতজোড় করে বলেন আমি বলছি আপনি ওই চেয়ারে বসুন। এতে কোনও অসুবিধা হবে না। এরপর তাঁর সম্মান রাখতে আমি ওই চেয়ারে বসি।”

এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, “যা কিছু ঘটেছে একাধিক লোকের সামনে হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন সেই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। এরপরেই বাম মানসিকতা সম্পন্ন কর্মীরা এই ছবিকে ভাইরাল করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, অধ্যক্ষা নিজের বিবৃতিতে স্পষ্ট জানিয়েছেন নিতান্তই মানবিকতার খাতিরে তিনি আমাকে ওই চেয়ারে বসতে বলেছিলেন।” ইতিমধ্যেই অবশ্য বিষয়টি নিয়ে নেটপাড়ায় তুমুল হইচই শুরু হয়েছে। তৃণমূল বিধায়কের দিকে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর