দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দিলেন ভাইপোকে! আচমকাই বড় সিদ্ধান্ত সুপ্রিমোর

বাংলা হান্ট ডেস্ক : তুলকালাম মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) রাজনীতি। এনসিপিতে (Nationalist Cogress Party) শরদ পওয়ারের (Sharad Power) পর কে তাঁর জায়গা নেবেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলেন স্বয়ং পওয়ারই। শনিবার কন্যা সুপ্রিয়া সুলে এবং প্রফুল পটেলকে দলের কার্যকরী সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করলেন। দলের ২৫তম জন্মদিবসের দিনই পওয়ারের এই ঘোষণা। ১৯৯৯ সালে পিএ সাংমার সঙ্গে মিলে এনসিপি তৈরি করেছিলেন পওয়ার। অদ্ভুত ভাবে, নতুন বদলে জায়গা হল না অজিত পওয়ারের।

ভারতের রাজনীতিতে ক্ষুরধার মস্তিষ্কের জন্য তিনি প্রসিদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত তাঁর রাজনৈতিক জ্ঞানে মুগ্ধ। এনসিপি প্রধান পওয়ার ফের তাঁর চাল দিলেন। শনিবার, দলের ২৫তম জন্মদিবসে পওয়ার ঘোষণা করলেন, তাঁর পরে দলের ভার যাবে কাদের হাতে। দেখা গেল, ভাইপো অজিতের নামগন্ধ নেই। কার্যকরী সভাপতির পদ পেয়েছেন মেয়ে সুপ্রিয়া এবং প্রফুল পটেল। জানা গিয়েছে, পওয়ার আপাতত এনসিপি সভাপতি পদেই থাকবেন। তাঁকে সভাপতিত্বে সহায়তা দেবেন সুপ্রিয়া এবং প্রফুল।

sharad pawar
এনসিপি সূত্রে খবর, সাংসদ সুপ্রিয়া দেখভাল করবেন মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, পঞ্জাব। এ ছাড়াও মহিলা, যুব সংক্রান্ত সমস্ত ব্যাপার তিনি দেখবেন। সেই সঙ্গে লোকসভার হালচালও দেখভালের ভার সুপ্রিয়ার উপর। অন্য দিকে প্রফুলের ভাগে পড়ছে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, গোয়া। এ ছাড়া রাজ্যসভায় এনসিপির গতিবিধিও রয়েছে তাঁরই আওতায়।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, পওয়ারের সিদ্ধান্তে একটা ব্যাপার পরিষ্কার, অজিত পওয়ারকে তাঁর উত্তরাধিকারী হিসাবে ভাবছেন না। আর তাই ভাইপোর জায়গা হয়নি কার্যকরী সভাপতির আসনে। অজিত বরাবরই রাজ্য রাজনীতির লোক। জাতীয় বিষয়ে বিশেষ উৎসাহ দেখতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু অজিত যে মহারাষ্ট্রে রাজনীতি করেন, সেই রাজ্যের ভার চলে গিয়েছে বোন সুপ্রিয়ার হাতে। এনসিপি নেতাদের একটি অংশের দাবি, এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়েই সম্ভবত পওয়ার বুঝিয়ে দিলেন, অজিতের স্থান ঠিক কোথায়।

যদিও এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পর টুইট করে নবনিযুক্ত দুই কার্যকরী সভাপতিকে অভিনন্দন জানান অজিত। টুইটে তিনি লেখেন, সুপ্রিয়া এবং প্রফুলের যোগ্য নেতৃত্বে এনসিপি এগিয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ পর্যন্ত করে ফেলেছিলেন অজিত। মহারাষ্ট্রের রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সে দিন শপথ নিয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। তার পর মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে অনেক ঝড় উঠেছে বদল এসেছে। কিন্তু সেই ‘বিশ্বাসঘাতকতা’কে ভুলে যাননি শরদ পওয়ার।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর