বাংলা হান্ট ডেস্ক : মানছি না মানবা না, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন হওয়ার পর থেকে দেশবাসীর এই স্লোগান যেন এখন প্রতিদিনের ব্যাপার। নিজভূমে পরবাসী হতে চাইছে না কেউই। তবে যেভাবে এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দেশবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে তাতে কিছুই করার নেই। এককথায় সকলেই কেন্দ্রের বিরোধিতা করে এনআরসি ও সিএএ-এর বিরোধিতায় কথা বলছে।
বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপূর্বে অসম, বিহার, ত্রিপুরা, থেকে শুরু করে পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ সমস্ত রাজ্যেই এনআরসি বিরোধি স্লোগান। এবার সেই তালিকায় সংযোজন হল মহারাষ্ট্রের নাম। যদিও প্রথম থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন না মেনে নিয়ে নিজেদের মুখপত্রে কলম ধরেছিল শিবসেনা। তবে এবার মহারাষ্ট্রে সিএএ না করার ব্যাপারে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিল এনসিপি।
তাই তো নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে শরদ পাওয়ার বলেছেন,.“দেশের অর্থনীতির দুরবস্থা থেকে নজর ঘোরাতেই বিজেপির চাল এটা। CAA ও NRC চালু করে দেশের সামাজিক ও ধর্মীয় শান্তি নষ্ট করতে চাইছে বিজেপি।”মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের শরিক এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের এই বক্তব্যের পর শিবসেনার তরফে কোনোরকম প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
কারণ ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিরোধিতার ইঙ্গিত দিলেও ভোটাভুটিতে সায় দিয়েছে শিবসেনা। তাই জোট শিবিরে থেকেও কংগ্রেস ও এনসিপি কিন্তু এখনও অবধি সমর্থণের সুর নয় বরং বার বার বিরোধিতাই করেছে। কংগ্রেসেরে তরফে যদিও কোনো আন্দোলন বা প্রতিবাদ কর্মসূচি করা হয়নি কিন্তু দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া বিশ্বিবিদ্য়ালয়ে পড়ুয়াদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস নিন্দা জানিয়ে ধর্নায় বসেছে নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
অর্থাত্ শুধুই পশ্চিমবঙ্গেই নয়, মহারাষ্ট্রও কিন্তু কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হাঁটল। যদিও দীর্ঘদিনের শরিক জোট ছিল শিবসেনার। তাই এনডিএ জোট ভেঙে গেলেও কেন্দ্রের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের স্বপক্ষেই ভোট দিয়েছে শিবসেনা।