বাংলা হান্ট ডেস্ক : আগামী ১ আগস্ট পুণেতে এক অনুষ্ঠানে এনসিপি (Nationalist Congress Party) সুপ্রিমো শরদ পওয়ারকে (Sharad Pawar) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে একমঞ্চে দেখা যাবে। সদ্যগঠিত ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে এনডিএ সরকারের বিরোধ যখন তুঙ্গে, সেই পরিস্থিতিতে মোদির সঙ্গে পওয়ারের মঞ্চ ভাগ করে নেওয়ার বিষয়টি ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে বিরোধীরা। অনেকেই চাইছেন কংগ্রেস (Congress) সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে যেন পওয়ারকে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকতে অনুরোধ করেন।
পুণেতে লোকমান্য তিলক জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার কথা মোদির। লোকমান্য তিলক স্মারক মন্দির ট্রাস্ট আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকার কথা পওয়ারের। এক আঞ্চলিক দলের নেতা প্রথমবার বিষয়টি বিরোধীদের সামনে তুলে ধরেন। আর তারপর থেকেই অস্বস্তি বেড়েছে বিরোধী দলগুলির। প্রশ্ন উঠছে, যেখানে ২০২৪ লোকসভার কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে মোদি সরকারের বিরোধিতায় একবগ্গা থাকার পরিস্থিতিতে পওয়ার-মোদির মঞ্চভাগ যে আমজনতার কাছে বিরোধীদের ভাবমূর্তিকেই নষ্ট করবে না?
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের এনডিএ সরকারে যোগ দিয়েছেন শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার। তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ওই সরকারে যোগ দিয়েছেন আরও ৭ বিধায়ক। যার জেরে পওয়ারের দলে বিরাট ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। আর এর পিছনে বিজেপির ‘ষড়যন্ত্র’ই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। সেই ‘অপারেশন লোটাসে’র পর এই প্রথম মুখোমুখি হওয়ার কথা মোদি ও পওয়ারের। এমনকী থাকার কথা অজিতেরও।
মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোট মহা বিকাশ আঘাড়ির শরিক কংগ্রেস অবশ্য মনে করে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বা না দেওয়া সেটা পাওয়ারের উপর নির্ভর করে। কিন্তু, উদ্ধব গোষ্ঠীর রায় পাওয়ারের কোনওমতেই ওই অনুষ্ঠানে যাওয়া উচিত হবে না। দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ইন্ডিয়াকে যখন যা ইচ্ছে তাই বলে গালি দিচ্ছেন, তিনি এবং তাঁর যখন এনসিপিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান দেখাতে যাওয়া এবং তাঁর হাতে পুরস্কার দেওয়াটা উচিত নয়।
রাউত আরও বলেন, ‘মোদি শুধু এনসিপিকে ভেঙে দিয়েছেন তা নয়, ওদের দলের নেতাদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলেছেন। যার জন্য দল এত ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে, কী করে তার সুপ্রিমো প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যেতে পারেন। পাওয়ার যদি তা করেন তাহলে তিনি নিজেই নিজের সম্মান ও ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন। আমি মনে করি ওই অনুষ্ঠানে পাওয়ারের না যাওয়াই উচিত।’