প্রথমবার প্রকাশ্যে এলেন শ্রদ্ধার বাবা, আফতাবের জন্য সর্বোচ্চ সাজার দাবি করে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক

বাংলাহান্ট ডেস্ক : হতভাগ্য এক বাবা তিনি। নিজের মেয়ের মৃত্যু সংবাদ যখন পেলে তখন কেটে গেছে অনেকগুলি দিন। এমনকি নিজের মেয়েকে শেষের বারের মতো একবার দেখতেও পেলেন না। তিনি বিকাশ ওয়ালকর। সদ্য প্রয়াত শ্রদ্ধা ওয়ালকরের (Shradhdha Walkar Murder Case) বাবা তিনি। আজ প্রথমবারের জন্য তিনি উপস্থিত হলেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরিস্কার ভাবে আফতাবের কঠিন শাস্তির দাবি করলেন তিনি।

এদিন সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই মহারাষ্ট্রের উপরাজ্যপাল এবং ডিসিপি সাউথকে। তাঁরা আমাকে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের পক্ষ থেকেও আমাকে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আমার মেয়ের হত্যাকান্ড আমার পরিবারকে মারাত্মক আঘাত করেছে। আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। বসই পুলিসের উদাসীনতা আমাদের পরিবারকে খুব যন্ত্রণা দিয়েছে। পুলিস অবহেলা না করলে আমার মেয়ে হয়ত আজ বেঁচে থাকত। আফতাব আমার মেয়েকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে। আমি ওর কঠিন শাস্তি চাই। শুধু তাফতাব নয়, ওর পরিবারের সকলের বিরুদ্ধেই তদন্ত করা হোক।’

এদিন বিকাশ ওয়ালকর আরও বলেন, ‘আইনের উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমও আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। তাই সকলকে ধন্যবাদ।’ সরাসরি তিনি আফতাবের ফাঁসিও দাবি করেন এদিন। তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক বাবা-মার উচিৎ ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তানদের কিছু বাঁধে রাখা। আমি চাইনা আমার মত পরিণতি কারুর হোক।’

প্রসঙ্গত, সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, খুনের আগে ১৩ এবং ১৪ মে দিল্লির ছত্তরপুরেই বদ্রি নামে এক পরিচিতের বাড়িতে ছিল দু’জনে। ১৪ মে রাতে শ্রদ্ধা এবং আফতাবের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। যার জেরে রাত দুটোর সময় বদ্রি তাঁদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এরপরে একটি গেস্ট হাউসে গিয়ে ওঠেন দুজন। দিল্লিতে তখনও তাঁদের কোনও থাকার যায়গা ছিল না। ১৫ এবং ১৬ মে এক বন্ধুর বাড়িতে থাকা পর ১৭ মে ছত্তরপুরের এক কামরার ফ্ল্যাট ভাড়া নেন দু’জনে। এর পরের দিনই খুন হয়ে যান শ্রদ্ধা।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর