বাংলা হান্ট ডেস্ক : মোদি জমানায় অর্থনৈতিক মন্দা, মোদি জমানায় কাশ্মীর জ্বলছে, মোদি জমানায় সাম্প্রদায়িক হিংসা, মোদি জমানায় আরো কতকিছু। বিরোধীদের এইসব বক্তব্যের ক্যাসেট বাড়তে বাড়তে এক সময় অতিষ্ঠ হয়ে গেছে ভারতবাসী। তারা ধরেই নিয়েছে বিরোধীরা মোদি বিরোধিতা করার জন্যই শুধু পথে নেমেছে। দেশের ভালো মন্দ বিচার করবার অধিকার সকলের রয়েছে’। তাইতো অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে এবার যখন হু হু করে বাড়ছে সেন্সেক্স। তখনই দানা বাঁধছে বিরোধিতার কতটা বাড়ে সেটাই দেখার। টানা কয়েক মাস ধরেই শেয়ারবাজারের অবস্থা সঙ্গীন৷ প্রতিদিনই শেয়ার বাজারে ধস নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল৷ যদিও মাঝে কয়েকটা দিন সেনসেক্সের পারদ চড়েছিল কিন্তু তার পর আবারও যাকে তাই অবস্থা৷ তবে উত্সবের মরসুমেই এল সুখবর৷ আর এই সুখবর এজন্য বাজারের পরিস্থিতি যে আরও জোরদার হবে তা বলাই বাহুল্য। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজারের পারদ ঊর্ধ্বমুখী৷ সকালে শেয়ার বাজারে লেনদেন শুরু হতেই সেনসেক্স পৌঁছল দৌড় গতিতে৷
বাজার খোলা মাত্রই শেয়ার সূচক হু হু করে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার মুম্বই শেয়ার সূচক ২৪৫.৬৫ থেকে বেড়ে গিয়ে পৌছায় ৪২৯৭.৫২ পয়েন্ট। অন্যদিকে নিফটি শেয়ার সূচক বুধবার বাজার বন্ধের সময় ছিল ৭০.৮ পয়েন্ট। বৃহস্পতিবার বাজার খুলতেই নিফটির শেয়ার সূচক বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১১৯১৪.৯০ পয়েন্ট। বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে ব্যাঙ্কিং এবং তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরের শেয়ার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে। এই ধাক্কায় দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলোর শেয়ার দর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ঢাকায় এতোখানি বাড়াকে বিশেষজ্ঞমহল অর্থনৈতিক দিক থেকে উন্নতির দিকে দেখছে আন্তজার্তিক শেয়ার বাজারেও শেয়ার সূচক ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রভাব ভারতে এসে পড়ে। এশিয়ার বাজারে শেয়ারের দাম বেড়ে গিয়েছে। মার্কিন ব্যাঙ্কগুলো সূদের হার কমিয়েছে, ফলে মার্কিন শেয়ার দর বেড়ে গিয়েছে। বিশেষঞ্জদের মত, ভারতীয় অর্থনীতির পক্ষে এই লক্ষণ শুভ। আপাতত কদিন ‘দালাল স্ট্রীটের’ হাওয়া এরকমই থাকবে।