একটানা পতনের পর অবশেষে ঘুরে দাঁড়াল শেয়ার বাজার, নেপথ্যে রয়েছে কোন কারণ?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বৃহস্পতিবার বাস্তবিকই লক্ষ্মীর মুখ দেখল শেয়ার বাজার (Share Market)। গ্লোবাল সেন্টিমেন্ট পজিটিভ হতেই মুখ উজ্জ্বল হয়েছিল বিনিয়োগকারীদের। কয়েকদিন একটানা পতনের পর একদিনেই বেশ খানিকটা চড়ল বাজারের (Share Market) সূচকগুলি। সেনসেক্স এক ধাক্কায় ৮৯৯ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ৭৬৩৪৮ পয়েন্টে। অন্যদিকে নিফটিও একদিনে ২৭৩ পয়েন্ট বেড়ে পৌঁছে গিয়েছে ২৩১৯১ এ।

বৃহস্পতিতে ঘুরে দাঁড়াল শেয়ার বাজার (Share Market)

বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজারে (Share Market) ব্যাঙ্কিং এবং আইটি স্টকগুলিতে লাভ বেড়েছে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ শুল্ক নিয়ে উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও বার্ষিক কাটছাঁট বজায় রেখেছে। এদিকে ফেডারেল রিজার্ভের এই সিদ্ধান্ত বাজারের পক্ষে অনুকূলে গিয়েছে। শেয়ার বাজারের এই বৃদ্ধির জেরে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানিগুলির বাজার (Share Market) মূলধন ৩.৩২ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০৮.৩২ লক্ষ কোটি টাকা।

Share market went up again on Thursday

ভারতীয় বাজারে আকর্ষণ বেড়েছে বিদেশীদের: ফেডারেল রেট কাট পরিবর্তন না করলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত নয়া শুল্ক নীতির প্রভাবের কথা উল্লেখ করে অর্থনৈতিক বিকাশের দৃষ্টিকোণ কমিয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা বাড়িয়ে তুলেছে। উল্লেখ্য, মার্কিন সুদের হার কম হলে ডলার দুর্বল হয় এবং ভারতের মতো শেয়ার বাজার (Share Market) বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে। ২০২৫ এর জন্য ফেড রেট স্থগিত রেখে ১.৭ শতাংশ কম বৃদ্ধি এবং ২.৮ শতাংশ তে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির অনুমান করা শেয়ার বাজারের প্রত্যাশার অনুরূপ।

আরো পড়ুন : “সত্যি বললেই জেল বা খুন”, রুদ্রনীলকে টক শোতে ডাকাটাই কাল, যা হল বাংলাদেশি অভিনেতার সঙ্গে…

কোন স্টকগুলিতে লাভ হল: চলতি বছর নিফটি আইটি সূচক নেমেছিল ১৬.৪ শতাংশ। তবে বৃহস্পতিবার ১.২ শতাংশের বেশি বৃদ্ধির সঙ্গে আবার কামব্যাকও করেছে। আইটি সংস্থাগুলিতে ভালো বেচাকেনা দেখা গিয়েছে। এইচসিএল টেকনোলজিস, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস, উইপ্রোর মতো স্টকগুলিতে সেনসেক্স প্রায় ২০০ পয়েন্ট লাভ করেছে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় শেয়ার (Share Market) গুলি গ্লোবাল মার্কেটের বৃদ্ধি অনুসরণ করেছে।

আরো পড়ুন : পরপর বিপদের খাঁড়া, ফের হাজির মহাসঙ্কট! ক্রমশ “শুকিয়ে যাচ্ছে” বাংলাদেশ, ব্যাপারটা কী?

চলতি বছরে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ দুবার সুদের হার কমানো এবং ট্রাম্পের শুল্ক নীতি বিষয়ে উদ্বেগ কমানোয় বিনিয়োগকারীদের মত পরিবর্তন হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান শেয়ার (Share Market) বেড়েছে ১ শতাংশ। নেসডেক ফিউচার বেড়েছে ০.৬২ শতাংশ এবং S&P ৫০০ ফিউচার বেড়েছে ০.৪৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ৪.৫ শতাংশ থেকে ৪.২৪৫ শতাংশে নেমে এসেছে US ১০ বছরের ট্রেজারি। অন্যদিকে ২ বছরের ট্রেজারি ৪.২৮ শতাংশ থেকে ৩.৯৯ শতাংশে নেমে গিয়েছে। মার্কিন ডলার সূচকও ১০৩.৩৬ এ নেমে গিয়েছে।

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর