বাংলা হান্ট ডেস্ক: আচমকাই পড়শি দেশ পাকিস্তানে (Pakistan) ঘোষণা করা হল জরুরি অবস্থার। রবিবার এই ঘোষণা করে সবাইকে চমকে দিয়েছে পাকিস্তানের শেহবাজ শরীফের সরকার। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। যেটিকে এক ধরণের “শিক্ষা জরুরি অবস্থা” হিসেবে বিবেচিত করা হচ্ছে।
পাকিস্তানে (Paksiatn) “জরুরি অবস্থা”:
মূলত, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ দেশের স্কুল থেকে বঞ্চিত ২.৬০ কোটি শিশুকে শিক্ষিত করার অভিপ্রায়ে “শিক্ষা জরুরি” ঘোষণা করেছেন। এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের (Pakistan) রাষ্ট্র-চালিত অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এই পদক্ষেপের ঘোষণা করেছেন এবং বেসরকাররি সেক্টর থেকে শুরু করে এবং অসামরিক সংস্থাগুলিকে সরকারকে সমর্থন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতা শেহবাজ, শিক্ষা এজেন্ডা অনুসরণ করার এবং তথ্যের দিক থেকে একটি শক্তিশালী এবং টেকসই জাতির জন্য প্রচেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা সারা দেশে শিক্ষাগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছি। শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে মিড-ডে মিল চালু করেছি।”
আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! এই ৩ টি কারণে আগামী ৩ মাসে হু হু করে বাড়বে সোনার দাম, মাথায় হাত গ্রাহকদের
তিনি বলেন, “সাক্ষরতা একটি মৌলিক মানবিক ও সাংবিধানিক অধিকার। যা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে। সাক্ষরতা শুধু লেখা-পড়ার ক্ষমতা নয়, বরং এটি ‘ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক সুযোগ এবং সমাজে সক্রিয় অংশগ্রহণের একটি প্রবেশদ্বার'”।
আরও পড়ুন: মোদীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চান ইউনূস! কোন কারণে সায় দিচ্ছে না নয়াদিল্লি?
তিন মাস আগেও এমন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল: জানিয়ে রাখি যে, এর আগে গত মে মাসেও, শেহবাজ শরীফ পাকিস্তানে (Pakistan) “শিক্ষা জরুরি অবস্থা” ঘোষণা করেছিলেন এবং স্কুলে না যাওয়া প্রায় ২.৬০ কোটি শিশুকে তালিকাভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কো জানিয়েছে যে উন্নয়নশীল দেশের ৪ জনের মধ্যে ৩ জন শিশু ১০ বছর বয়সের মধ্যে মৌলিক পাঠ্য পড়তে বা বুঝতে পারে না এবং এখনও বিশ্বব্যাপী ৭৫.৪ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক নিরক্ষর রয়েছেন। যাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই মহিলা।