বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) শেহবাজ শরীফ (Shahbaz Sharif) সরকার একের পর এক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এদিকে প্রবল অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেই এখন সেদেশের সরকারের জোটে ভাঙনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এমনটাও আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে যে শাহবাজ সরকারের অকাল পতন ঘটবে কি না?
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ইতিমধ্যেই পাকিস্তান সরকারের বিদেশমন্ত্রী তথা পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সভাপতি বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিলাওয়াল গত রবিবার জানিয়েছেন যে, সরকার বন্যা দুর্গতদের প্রতি দেওয়া প্রতিশ্রুতি সঠিকভাবে পূরণ না করলে তাঁর মন্ত্রিত্ব ধরে রাখা কঠিন হবে।
করাচিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিলাওয়াল বলেন যে, সরকার সিন্ধু প্রদেশের বন্যা কবলিত মানুষের জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া ত্রাণ তহবিলের বিলম্ব করছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, সিন্ধুর বন্যা কবলিত এলাকা সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বন্যা দুর্গত মানুষদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের বিষয়ে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেইসব প্রতিশ্রুতির কোনোটিই পূরণ হয়নি। বিলাওয়াল জানান, তিনি এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শরীফের সাথে কথা বলবেন। এমতাবস্থায়, প্রধানমন্ত্রী যদি বন্যা দুর্গতদের সমস্যা উপেক্ষা করতে থাকেন সেক্ষেত্রে নিজের পদে থাকা তাঁর পক্ষে কঠিন হবে।
এর পাশাপাশি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী চলমান ডিজিটাল জনগণনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। যেখানে তিনি বলেন, এই ত্রুটিপূর্ণ জনগণনা সিন্ধু সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু তাই নয়, সরকার এই জনগণনা চালিয়ে যেতে চাইলে প্রাদেশিক সরকারের কাছ থেকে কোনো সাহায্য পাবে না বলেও জানান তিনি। বিলাওয়াল বলেন যে, সিন্ধু সরকার বন্যা দুর্গতদের মধ্যে যাঁদের বাড়িঘর এবং জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের যতটা সম্ভব সাহায্যের চেষ্টা করছে।
বিলাওয়াল জানান, সিন্ধুই একমাত্র প্রদেশ যেটি ৪০ কেজি আখ ৪,০০০ টাকায় বিক্রি করত। এদিকে, যখন পিপিপি ক্ষমতায় আসে, তখন পাকিস্তানের রপ্তানির পরিমান খুবই কম ছিল। তবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি ত্রাণ প্রদানের জন্য কৃষি খাতে যথেষ্ট মনোযোগ দিয়েছিলেন। পিপিপি চেয়ারম্যান বলেন, বেনজির ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষকদের ত্রাণ প্রদান করা হবে। অন্যদিকে ফেডারেল সরকারের উচিত বন্যা দুর্গতদের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করা।