বাংলাহান্ট ডেস্ক: নবাব পতৌদি পরিবারকে নিয়ে বলিউডে কৌতূহলের অন্ত নেই। অভিজাত এই পরিবারে যেদিন থেকে অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর (sharmila tagore) বউ হয়ে প্রবেশ করেছিলেন সেদিন থেকেই বিনোদন ইন্ডস্ট্রিতে অলিখিত ভাবে নাম জুড়ে যায় নবাব পরিবারের। আর এখন তো প্রায় গোটা পরিবারটাই ফিল্মি পরিবার হয়ে উঠেছে।
শর্মিলার ছেলে মেয়ে সইফ আলি খান (saif ali khan), সোহা আলি খান দুজনেই অভিনেতা অভিনেত্রী। সইফের প্রথম স্ত্রী অমৃতা ও বর্তমান স্ত্রী করিনা (kareena kapoor khan) দুজনেই সিনেমা জগতের। এমনকি জামাই কুণাল খেমুও অভিনেতা। কাজেই এমন ফিল্মি খানদানের অভ্যন্তরীণ গল্প যে মুচমুচে গসিপের যোগান দেবে তা বলাই বাহুল্য।
করিনার সঙ্গে সইফের বিয়ের পর বেশ কয়েক বছর কেটে গিয়েছে। তাঁদের পরিবারে এসেছে দু দুজন নতুন সদস্য। দুই ছেলেকে নিয়ে বেশ সুখেই সংসার করছেন সইফ করিনা। বৌমার উপরেও বেশ প্রসন্ন শাশুড়ি শর্মিলা। কয়েকটি সাক্ষাৎকারে করিনার প্রশংসা করতেই শোনা গিয়েছে তাঁকে।
কিন্তু এই খবরটা কি জানতেন একটা সময় শর্মিলা চাননি যে সইফ করিনাকে বিয়ে করুন। এমনকি অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে ছেলের বিবাহ বিচ্ছেদেরও বিরুদ্ধে ছিলেন শর্মিলা ও টাইগার। অমৃতাকে বৌমা হিসাবে পছন্দ করতেন না তাঁরা কিন্তু বিয়েটা ভেঙে যাক সেটা চাননি কেউই। কারণ নবাব পরিবারে এই বিবাহ বিচ্ছেদ একটা দাগ ফেলে দিয়েছিল।
উপরন্তু ২০১১ সালে টাইগার মারা যাওয়ার পরের বছরেই করিনাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সইফ। এতে মানসিক ভাবে আরোই ভেঙে পড়েন শর্মিলা। ছেলের দ্বিতীয় বিয়ের আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “এটা আমার জন্য নিঃসন্দেহে খুশির দিন কিন্তু আমি একটি পুরনো শাড়িই পড়বো। এতে অনেকে ভাবতে পারেন এই বিয়েতে আমার উৎসাহ নেই। কিন্তু ক্ষমা করবেন মাত্র এক বছর আগে আমি আমার স্বামীকে হারিয়েছি।”