বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিনোদন এবং ক্রিকেটের মেলবন্ধনের অন্যতম নিদর্শন শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore) এবং মনসুর আলি খান পতৌদি। বাংলা তথা হিন্দি সিনে জগৎ কাঁপানো অভিনেত্রী, বাংলার মেয়ে প্রেমে পড়েন ক্রিকেট তারকা তথা পতৌদির নবাবের। তারপর আর কী, সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ১৯৬৯ সালে এক হয় চার হাত। তবে কথাটা লিখতে যতটা সোজা, আদৌ পরিস্থিতি ততটা সহজ ছিল না। এক তো সে সময়ের নিরিখে দাঁড়িয়ে ভিন ধর্মে বিয়ে করাটাই ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ, উপরন্তু বিয়ের পর সংসারের দায়িত্ব ঘাড়ে এসে পড়েছিল শর্মিলার (Sharmila Tagore)।
শর্মিলা ঠাকুরকে (Sharmila Tagore) নিয়ে মুখ খুললেন সোহা
বলিউডের একমাত্র নবাব পরিবারের বধূ শর্মিলা (Sharmila Tagore)। তবে নামেই তালপুকুর, ঘটি ডুবত না। সংসারের খরচ খরচা সবটাই সামলাতেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এমনি দাবি করেছেন তাঁর কন্যা সোহা আলি খান। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ক্রিকেট শুধু নিজের আনন্দের জন্য খেলতেন মনসুর। তা থেকে কোনো অর্থ ঘরে আসত না। সংসারের যাবতীয় খরচ চালাতেন শর্মিলা।
ক্রিকেট থেকে আসত না অর্থ: সোহা বলেন, তাঁর জন্মের আগেই ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মনসুর আলি খান। তারপরেও তিনি খেলতেন বটে, তবে তা শুধুই নিজের ভালোলাগার জন্য। তাতে টাকা পেতেন না কোনো। উপরন্তু সময়টা ছিল ষাটের দশক। তখন না ছিল আইপিএল আর না এখনকার মতো এত বিজ্ঞাপনে মুখ দেখাতেন ক্রিকেটাররা। শর্মিলা (Sharmila Tagore) একাই চালাতেন সংসারের খরচ।
আরো পড়ুন : অগ্নিগর্ভ মুর্শিদাবাদ! ওয়াকফ আইন বিরোধী বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ ৩, নামানো হল BSF
অনেক কম বয়সে বিয়ে করেন শর্মিলা: মাকে নিয়ে বলতে গিয়ে সোহা মন্তব্য করেন, নিজের গোটা জীবনে নিজের মনের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করেছেন অভিনেত্রী শর্মিলা (Sharmila Tagore)। তিনি সবসময় বলতেন, নিজের মন যেটা চায় সেটাই করা উচিত। যে বয়সে আজকালকার মেয়েরা সাধারণত বিয়ে করতে চায় না, তিনি সেই ২৪ বছর বয়সে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আবার বিয়ের কয়েক বছর পর মা হয়েও একটানা কাজ করে গিয়েছেন শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)।
আরো পড়ুন : মন্দিরে পাঁঠাবলি দিতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত একই পরিবারের ৪ জন! বাঁচল বলি হতে যাওয়া পাঁঠা
প্রসঙ্গত, সেই ৬০ এর দশকে দাঁড়িয়ে ভিন ধর্মে বিয়ে করার সাহস দেখিয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, তাঁর পরিবার চেয়েছিলেন ফোর্ট উইলিয়ামে হোক বিয়ের অনুষ্ঠান। কারণ তাঁরা হুমকির ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু ফোর্ট উইলিয়াম কর্তৃপক্ষ বিয়ের অনুমতি দেয়নি। শেষমেষ এক বন্ধুর বিয়েতে বসে শর্মিলা মনসুরের বিয়ের আসর। পরবর্তীতে তাঁদের মেয়ে সোহার বিয়ে নিয়েও হয়েছিল বিতর্ক।