বাংলাহান্ট ডেস্ক: শর্মিলা ঠাকুরের (sharmila tagore) অনেকগুলি পরিচয়। তিনি নিজে নামজাদা অভিনেত্রী, সত্যজিৎ রায়ের নায়িকা। আবার তিনিই পতৌদি নবাব পরিবারের গৃহবধূ। অনেকেই জানে না শর্মিলা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের মেয়েও বটে। মুম্বই নিবাসী হলেও আদ্যোপান্ত বাঙালি মেয়ে তিনি। সম্প্রতি মেয়ে সোহা জানালেন, মা শর্মিলা নাকি বাংলায় ঝগড়া করেন!
সম্প্রতি সোহা এক সাক্ষাৎকারে জানান, শর্মিলা ও সইফের নাকি প্রায়ই ঝগড়া লাগে। আর ঝগড়া লাগা মানেই শর্মিলা ভয়ঙ্করী। সোহা বলেন, “সবাই বলে বাংলা খুব মিষ্টি ভাষা। কিন্তু সেটা একেবারেই নয়। মা রেগে গেলেই বাংলা বলতে থাকেন আর সব রাগপ্রকাশ বাংলাতেই হয়। আমরা কেউই বাংলা বলি না। আমার দাদা আর মায়ের মধ্যে এই সুন্দর সম্পর্ক। ওরা যখনি ঝগড়া করে, তারপর আমাকে ফোন করে। আর আমাকে ঝামেলা মেটাতে হয়।”
কিন্তু স্বামী, শাশুড়ির এই ঝামেলা থেকে শতহস্ত দূরে থাকেন বৌমা করিনা। সোহার কথায়, আগে তিনি বেবোকে অন্য রকম ভাবতেন। কিন্তু এখন জানতে পারলেন যে তিনি একেবারেই শান্ত। বেশি চাপ নেন না। মজা করতে ভালবাসেন করিনা। সইফকে খুব ভালভাবে সঙ্গ দেন তিনি। সোহার কথায়, করিনা থাকেন ‘বিন্দাস’।
বৌমার প্রশংসায় শর্মিলাও পঞ্চমুখ। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, করিনা নাকি খুবই শান্তশিষ্ট, ধৈর্যশীল। যেভাবে পরিচারক, নিজের মেকআপ আর্টিস্ট বা হেয়ার ড্রেসারদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি, তাতে মুগ্ধ শর্মিলা। তিনি বলেন, “আমিও মাঝে মাঝে মেজাজ হারিয়ে চিৎকার করে বসি। যখন তাড়া থাকে আমার হেয়ারড্রেসারকে চিৎকার করে বলি, ‘জারা তাড়াতাড়ি করো’। কিন্তু করিনা কক্ষণো করেনি এমন।”
বৌমার সংস্পর্শে এসে নাকি তিনি নিজেও শান্ত হয়ে যান বলে জানান শর্মিলা। করিনার আরো একটি গুণ খুবই পছন্দ তাঁর। আর সেটা হল কারোর সঙ্গে নিজেকে তুলনা না করে নিজের কাজটা করে যাওয়া। করিনাকে বৌমা হিসেবে পেয়ে খুব খুশি, জানান শর্মিলা।