বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত বেশ কয়েকমাস ধরেই তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। গরু পাচার মামলায় সিবিআইযের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে জেলে হেফাজতে রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর সমর্থনে মন্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর এবার একইভাবে কেষ্টর পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। অনুব্রতর সমর্থনে তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্য বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে শতাব্দী রায়ের সম্পর্ক কোনোকালেই সুবিধার নয়। এক্ষেত্রে গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় শতাব্দী রায়ের তৃণমূল ছাড়ার বিষয়েও একাধিক জল্পনার সৃষ্টি হয়। সেই সময় একটি মহল দাবি করে, বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রতর উপর ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণেই তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করতে চলেছেন শতাব্দী। যদিও পরবর্তীতে সেরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি আর অবশেষে এবার সেই অনুব্রতর পাশেই দাঁড়ালেন তৃণমূল নেত্রী।
গতকাল খয়রাশোলে একটি জনসভায় বক্তৃতা দিতে উঠে শতাব্দী বলেন, “আমরা যে অকৃতজ্ঞ নই, তা বোঝানোর সময় এসেছে। তাই অনুব্রত মণ্ডলের পাশে আমাদের সকলকে থাকতে হবে। আপনারা অনুব্রত মণ্ডলের থেকে যখন সহযোগিতা পেয়েছেন, ওনাকে সঙ্গে পেয়েছেন, তখন ওনার পাশেও আপনাদের থাকতে হবে।”
উল্লেখ্য, গতকাল খয়রাশোলে কেন্দ্র সরকারের দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি এবং অন্যান্য একাধিক ইস্যুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে একটি জনসভা আয়োজন করা হয়। সেখানে অন্যান্য নেতাদের মতো বিজেপিকে আক্রমণের পাশাপাশি মূলত অনুব্রতর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতেই দেখা যায় শতাব্দীকে।
তিনি বলেন, “গত লোকসভা নির্বাচনের ন্যায় এবারে সমসংখ্যক আসন পাবে না বিজেপি, এটা ওরা জেনে গিয়েছে আর সেই কারণেই বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আমাদের বদনাম করার জন্যই চক্রান্তের পথে হাঁটছে বিজেপি।”
উল্লেখ্য, গতকাল অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়ালেও অপরদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই কথা বলতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদকে। এক্ষেত্রে অতীতেও পার্থর সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করে। দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়ার পাশাপাশি একাধিক সময় পার্থর বিরুদ্ধেও কথা বলতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের। সেই ধারা বজায় রেখে গতকাল শতাব্দী বলেন, “কোন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখে কিন্তু আমরা তৃণমূল দল করি না। আমরা দলে এসেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে। তিনি আমাদের নেত্রী।”