বাংলাহান্ট ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। জেলা স্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা। তৃণমূলের (Trinamool Congress) তরফে আনা হয়েছে নতুন প্রকল্পও। দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচির প্রচারে বিভিন্ন জেলায় জেলায় ঘুরছেন নেতা সাংসদরা। শুক্রবার রামপুরহাটে গিয়েছিলেন শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। সেখানে গিয়েই বিতর্ক বাঁধিয়ে এলেন বীরভূমের সাংসদ।
দলের কাজে গিয়ে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে শতাব্দীকে। এমনকি দলের এক কর্মীর বাড়িতে দুপুরের খাবার খাওয়া নিয়েও বিতর্ক বাঁধে। বিষ্ণুপুরের তেঁতুলিয়ায় এক কর্মীর বাড়িতে গিয়ে খাবার না খেয়েই চলে আসেন শতাব্দী, এমনি অভিযোগে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।
বিগত এক দু বছর থেকেই দেখা যাচ্ছে, বাংলায় ভোট প্রচারে বা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে এলেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা গ্রামের কোনো বাসিন্দার বাড়িতে বা কোনো দলীয় কর্মীর বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করেছেন। বাড়িতে রাঁধা নানান পদে আপ্যায়ন করা হয়েছে তাঁদের। এ নিয়ে কম কটাক্ষ শানাননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবটাই লোক দেখানো বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।
পরবর্তীকালে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একই ভাবে আতিথেয়তা গ্রহণ করেছেন। আর এবার ‘দিদি’র পথ অনুসরণ করলেন তাঁর দলের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়ও। এদিন রামপুরহাটে তৃণমূল কর্মী সুজিত সরকারের বাড়িতে তাঁর খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, এঁচোড়ের তরকারি আর পাঁঠার মাংস। কিন্তু কোনো কিছু মুখেও তোলেননি শতাব্দী।
তারকা সাংসদ খেতে বসলে স্বাভাবিক ভাবেই সাংবাদিকরা ক্যামেরা নিয়ে তৈরিই ছিলেন। সকলের সঙ্গে উঠোনেই বসেন শতাব্দী। খাবারে হাতও দেন। কিন্তু সেই খাবার মুখ পর্যন্ত ওঠেনি তাঁর। হঠাৎ করেই উঠে পড়েন শতাব্দী। কাণ্ড দেখে হতবাক সকলেই। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, গরিব মানুষের বাড়িতে খাবেন না বলেই উঠে গিয়েছেন শতাব্দী। পালটা তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, খেতে বসে সম্ভবত অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তারকা সাংসদ। তাই না খেয়েই উঠে পড়েছেন। শতাব্দী রায় অবশ্য সাফাই দিয়েছেন, তিনি আগেই খেয়ে নিয়েছেন কর্মীদের বাড়িতে। তখন সাংবাদিকরা নাকি ছিলেন না।