বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) গ্রেফতার হওয়ার পর বীরভূম জেলায় বড় করে সভা করেছিলেন এলাকার সাংসদ শতাব্দী রায় Shatabdi Roy)। সেই সভায় কর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, অনুব্রতের পাশে থাকতে হবে সবাইকে। কিন্তু সিবিআই দাবি করছে গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতের বিরুদ্ধে তিনিই নাকি সাক্ষী দিয়েছেন। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে রীতিমতো শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। শুক্রবার বোলপুর থেকে শতাব্দী দাবি করলেন, দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে কোনও রকম সাক্ষীই দেননি।
গরু পাচার-কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে নাকি সাক্ষী দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। এমনটাই বলা হয় সিবিআইয়ের চার্জশিটে। সাপ্লিমেন্টারি বা অতিরিক্ত চার্জশিটে অনুব্রতের বিরুদ্ধে যে ৯৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে, তার ৪৬ নম্বরে নাম রয়েছে অভিনেত্রীর। সিবিআই সূত্রের খবর, শতাব্দীর বয়ানও নাকি রেকর্ড করা হয়েছে।
অনুব্রত এবং শতাব্দীর ‘সুসম্পর্কের’ কথা সর্বজনবিদিত। তাই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। তবে এই যাবতীয় জল্পনাকে মিথ্যা প্রমাণ করলেন শতাব্দী। তাঁর দাবি অনুব্রতের বিরুদ্ধে কোনও বয়ান সিবিআইয়ের কাছে দেননি। শতাব্দী বলেন, ‘আমি সাক্ষ্য দিতে যাব কেন? ওরা মহাভারত রচনা করছে করুক না। আমার বেশ মজা লাগছে শুনতে।’
শুক্রবার রামপুরহাটে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন শতাব্দী। সেখানে অনুব্রতকে নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘ওকে সঙ্গে নিয়ে দল চলছে। আগামীতেও তাই চলবে।’ এরই সঙ্গে সাক্ষী প্রসঙ্গে বলেন, ‘যখন কোর্টে যাবে, তখন জেনে নিও।’ তাঁর সাক্ষ্যদান প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কোনও উত্তর দেব না।’ ঘুরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কী জানেন বলুন। আদালতে যাক বিষয়টি। তার পরে দেখে নেবেন।’
এদিনের সভার মঞ্চ থেকে বিজেপিকে বেশ কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে শোনা যায় শতাব্দীকে রায়কে। জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যা দেখছেন, তার মধ্যে ৯০ শতাংশই মিথ্যে। তাই মিথ্যায় কান দেবেন না। এখনও পর্যন্ত মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের পাশে রয়েছে। পাশেই থাকবে।’ বোলপুরের তিন বারের সাংসদের চ্যালেঞ্জ, ‘এখন নির্বাচন হলেও বিরোধীরা এখানে একটি আসনও পাবেন না।’