বাংলা হান্ট ডেস্ক –সাম্প্রতিক ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনে বেশ কিছুটা ভরাডুবি হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের, তারপরেই রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোর কে বাংলায় তৃণমূল কিভাবে মানুষের সাথে কাজ করবে তার রূপরেখা তুলে ধরার জন্য প্রশান্ত কিশোরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সেখানে একটি নতুন প্রোগ্রাম তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উদ্বোধন করা হয়েছে এবং খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রোগ্রামটির সূচনা করেন প্রোগ্রামটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দিদিকে বলো’ অর্থাৎ কারো কোনো অভিযোগ থাকলে সরাসরি দিদিকে ফোন করতে পারবেন এবং কোন অভিযোগ থাকলে তা দ্রুত সমাধান করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। দিদিকে বলো নিয়ে যখন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে সেই সময় বিরোধীরা এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি।
বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে চা পে চর্চা শুরু করেছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ তিনি বলেন আমরা সব সময় মানুষের সাথে এবং জনসংযোগের কাজ করছি প্রতিটি মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে বিজেপি মানুষের জন্য সর্বদা কাজ করে, এর পাল্টা সিপিএমের অন্যতম যুবনেতা শতরুপ একটি ভিডিও প্রকাশ করেন তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় সেখানে তৃনমূলের বিভিন্ন ইতিহাস
তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে একহাত নিয়েছেন, কখনো কামদুনি, কখনো শিলাদিত্য, কখনো তানিয়া বরদার, কখনো সিপিএমের একাধিক নেতারা যখন বলতে গেছি দিদিকে তখন দিদি তার পাল্টা কি উত্তর দিয়েছে তা মানুষ দেখেছে অর্থাৎ দিদিকে বলে আর কোন কাজ হবে না, তাই এবার বাংলার মানুষ দিদিকে তাঁড়াও বলে দাবি করেছেন সিপিএম নেতা শতরুপ।
শতরুপ আরো জানিয়েছে আগামী বিধানসভায় আগে যদি কোন সমাধান করতে পারবেন না তিনি মানুষের ডাটাগুলো নিয়ে সব তথ্য মানুষেকর কাছে তুলে দেবেন এবং ওয়েবসাইটে একটি জায়গায় লেখা আছে তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত কিনা, এই বিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন তিনি বলেন বাংলায় কে কোন দলের জন্য কাজ করছে
সেটি দিদি কে জানিয়ে দেওয়া হবে তার ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সমস্ত তথ্য চলে যাবে। এখন দেখার বিষয় সত্যি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রোগ্রামটি সফল হয় কিনা। তার জন্য আগামী পৌরসভা ও বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।