‘আমাকে দেখেই রাস্তায় শুয়ে পড়ছে CPIM’, দেবাংশুর খোঁচার উত্তরে পাপোশ বলে কটাক্ষ শতরূপের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেন্দ্র সরকারের একাধিক নীতি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ, পেট্রোল ডিজেল, রান্নার গ্যাস ইত্যাদির মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয়ের বিরোধিতা করে সোমবার এবং মঙ্গলবার দুইদিন ব্যাপি ভারত বনধ ডেকেছে বামেরা। আজ সারাদিন ধরেই সামনে এসেছে সেই বনধের একাধিক ছবি। দেখা গেছে কোথাও কোথাও বনধ সফল করতে রাস্তাতে শুয়েও পড়েছেন বাম কর্মী সমর্থকরা। আর এই ইস্যুকে নিয়েই বামেদের একহাত নিলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।

এদিন স্যোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আমার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ সিপিএম রাস্তায় শুয়ে পড়েছে।’ উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় একটি পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দেবাংশু। সেই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয় লাভের পর যদি দলবদলু নেতারা তৃণমূলে ফিরতে চায় তাহলে বাধা দেওয়ার জন্য তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে শুয়ে পড়বেম। এই পোস্টের অনুষঙ্গ টেনেই এদিন বামেদের কটাক্ষ করেন তিনি।

   

যদিও ছেড়ে কথা বলেননি সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষও। এদিন তাঁর বক্তব্য, ‘দেবাংশুর থেকে আমরা অনুপ্রাণিত হতাম যদি দিদির দরজার বাইরে শুয়ে উনি চৌকাঠ হতে পারতেন। কিন্তু উনি তো চৌকাঠ হতে পারলেনই না, বরং পাপোশ হয়ে গিয়েছেন। দিদির ঘরে ঢুকতে গিয়ে কেউ এখন আর হোঁচোট খাচ্ছে না, পা মুছে ঢুকে যাচ্ছে। জয়প্রকাশ মজুমদার, মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত। উনি বেচারা চৌকাঠ হতে গিয়ে পাপোশ হয়ে গিয়েছেন। আমরা চৌকাঠের থেকে অনুপ্রেরণা নিই, পাপোশ থেকে কী নেব!’

ksksksjs

শতরূপের এই পাপোশ থিওরির পাল্টাও অবশ্য দিয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা। তিনি বলেন, ‘আমি দিদির কালীঘাটের বাড়ির সামনে শুয়ে থাকব বলেছিলাম, সেটা নিয়ে সিপিএম-এর প্রচুর মাথাব্যথা। আমাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সিপিএম এখন রাস্তাঘাটে শুয়ে পড়ছে। তফাত একটাই আমাকে ডিঙিয়ে অনেকেই হয়তো ঢুকে গিয়েছেন। কিন্তু সিপিএম যেগুলোকে আটকানোর চেষ্টা করছে, সেই বাস বা ট্রেন যদি ওদের ডিঙিয়ে ঢোকার চেষ্টা করত, তাহলে তো ব্যাপারটা অন্যরকম হত। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, মুকুল রায়রা যেমন আমাকে ডিঙিয়ে ঢুকে গিয়েছে, যেগুলোকে সিপিএম আটকানোর চেষ্টা করছে, সেই বাস বা ট্রেন যেন আজ ওনাদের ডিঙিয়ে না চলে যায়। চৌকাঠ আর পাপোশের মধ্যে এখানেই তফাত।’

তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘এটা আমার দলের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার সেখানে সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু ওঁরা যে শুয়ে পড়েছেন তাতে সাধারণ নিত্যাযাত্রী, খেটে-খাওয়া মানুষ, করোনার কারণে যাঁদের পেটে লাথি পড়েছে, এই ধর্মঘট করে তাঁদের পেটে আবার লাথি মারার চেষ্টা হচ্ছে। তাই মেহনতি মানুষের কথা বলে তাঁদের পেটে লাথি মারার চেষ্টা করলে এখানে সাধারণ মানুষ যুক্ত হয়ে যায়। একটা দলীয় অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, আর একটা সাধারণ মানুষের।’ একই সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের শুন্য হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘শুন্যর নীচে তো আর নামা যায় না, তাই কীই বা বলব ওদের নিয়ে’। যাই হোক, এই পাপোশ -চৌকাঠ চাপান উতর ঘিরে যে ব্যাপক সরগরম বাংলা রাজনীতির নেটপাড়া তা বলাই বাহুল্য।

Avatar
Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর