বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার ঈদ উৎসব আর তার আগেই গতকাল আসানসোলে আয়োজিত এক ইফতার পার্টিতে যোগদান করলেন তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। উত্তর আসানসোলের রেলপাড়ে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয় এবং এখানে তৃণমূল সাংসদ ছাড়াও মলয় ঘটক, ওয়াসিমুল হক এবং অভিজিৎ ঘটক সহ একাধিক তৃণমূল নেতারা যোগ দেন। গতকাল এই অনুষ্ঠান থেকে গোটা দেশে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন পূর্বে পশ্চিমবঙ্গের দুটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আসানসোল কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়াই করেন বলিউড সুপারস্টার এবং একদা বিজেপির সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। ভোট প্রচারের সময় তাঁকে নিয়ে একাধিক বিতর্ক সৃষ্টি হলেও তাকে পাত্তা না দিয়েই আসানসোল উপ নির্বাচন কেন্দ্র থেকে তিন লক্ষের বেশি ভোটে বিরোধীদের দূরমুশ করেন তিনি। উল্লেখ্য, অতীতে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারেনি, ফলে তাঁর এই জয় বাংলার রাজনীতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। পরবর্তীতে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে প্রশংসাও শোনা যায় শত্রুঘ্ন সিনহার গলায়। আর এবার ঈদের পুর্বে সারাদেশে সম্প্রীতি এবং ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা দিলেন তিনি।
রবিবারই কলকাতা থেকে ইফতার পার্টি উপলক্ষ্যে আসানসোলে পৌঁছান তৃণমূল সাংসদ। জানা যায়, এদিন রাজ্যের শাসক দল আসানসোলে এক বিশাল ইফতার পার্টি আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত হয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা জানান, “এই সময়টা খুবই পবিত্র। সম্প্রতি, আমরা আসানসোলে অসংখ্য ভোটে জয়লাভ করেছি। আমরা জানি, ভোটের সময় আসানসোল সহ গোটা দেশে রোজা পালিত হয়েছিলো। তা সত্বেও এখানকার মানুষ যেভাবে আমাদেরকে ভোট দিয়ে জয় লাভ করতে সাহায্য করেছেন, তার জন্য আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আমাকে এখানে আসার জন্য অনুরোধ করেন আর আজ আমি ইফতার পার্টিতে যোগ দিতে পেরে খুবই খুশি হয়েছি।”
এছাড়াও তিনি জানান, “আসানসোলে যখন আমি ঢুকছিলাম, তখন দেখলাম সেখানে বড় বড় করে লেখা রয়েছে ‘সিটি অফ ব্রাদারহুড’ অর্থাৎ ভাতৃত্বের শহর। আমি চাই, এর মাধ্যমে গোটা দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সম্প্রীতির বার্তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক।”