বাংলাহান্ট ডেস্ক: খামোশ! কথাটা শুনলেই একটা নাম মাথায় আসে, শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha)। বলিউডের সবথেকে সফল বর্ষীয়ান অভিনেতাদের মধ্যে একজন তিনি। কিন্তু একটা সময় এমন ছিল যখন অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন শত্রুঘ্ন। বলিউডের খুব কম বন্ধুদেরই পাশে পেয়েছিলেন তিনি। শেষমেষ নিজের বসতভিটে বিক্রি পর্যন্ত করার কথা ভেবেছিলেন শত্রুঘ্ন।
নিজের আত্মজীবনী ‘এনিথিং বাট খামোশ’এ অভিনেতা জানিয়েছেন, আশির দশকে তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। দশ লাখ টাকাও ছিল না তাঁর কাছে। শত্রুঘ্ন বলেন, তিনি খুব আত্মাভিমানী। কারোর কাছে হাত পাতা তাঁর স্বভাবে নেই। তাই নিজের ফ্ল্যাট বিক্রি করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু শত্রুঘ্নকে আটকান তাঁর স্ত্রী পুনম।
বাধ্য হয়ে পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু পরিচালক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, সুদসহ ফেরত দিতে হবে তাঁকে। চিন্তায় চিন্তায় শত্রুঘ্ন যখন জেরবার তখনি দেবদূতের মতো তাঁর কাছে আসেন অভিনেতা সঞ্জীব কুমার। শত্রুঘ্নকে বিষন্ন দেখে কারণ জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি। সবটা জেনে আর দ্বিতীয় প্রশ্ন করেননি।
পরের দিনই বিনা বলেকয়ে শত্রুঘ্নর বাড়িতে এসে হাজির সঞ্জীব কুমারের সেক্রেটারি। তিনি জানান, একটি ভিডিও ক্যাসেট পাঠিয়েছেন অভিনেতা। কিন্তু খবরের কাগজের মোড়ক খুলতে দেখা যায়, টাকা পাঠিয়েছেন সঞ্জীব কুমার। শত্রুঘ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কত সুদ চান তিনি? উত্তরে সঞ্জীব কুমার পালটা প্রশ্ন করেছিলেন, সুদের প্রশ্ন আসছে কোত্থেকে? এমনকি কবে টাকাটা শত্রুঘ্ন ফেরত দিতে পারবেন তাও জিজ্ঞাসা করেননি সঞ্জীব।
এখন আর সঞ্জীব কুমার নেই। শত্রুঘ্ন অকপটে স্বীকার করেছেন, এখনো পর্যন্ত পুরো টাকাটা ফেরত দিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। আর সঞ্জীব কুমার মারা যাওয়ার পর কার কাছেই বা তিনি ফেরত দিতেন?