বাংলাহান্ট ডেস্ক: আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে তৃণমূল সাংসদ হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha)। ২ লাখেরও বেশি ভোটের পার্থক্যে জয়লাভ করেছেন বিহারী বাবু। বিরোধী পক্ষকে বাস্তবিকই ‘খামোশ’ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। অথচ এমন ঐতিহাসিক জয়ের পরেও বলিউড ইন্ডাস্ট্রি থেকে একটাও শুভেচ্ছা বার্তা পাননি শত্রুঘ্ন। বিষয়টা নিয়ে স্পষ্টতই অসন্তুষ্ট অভিনেতা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্ন সিনহার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, তিনি তো এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ। বলিউডকে কি একেবারেই ভুলে গেলেন? ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নাকি এখন ভয় পেয়ে থাকে। একটা ছবি বানানোর আগে দশবার ভাবে, যে ছবিটা বানালে জেলে যেতে হবে না তো? এমতাবস্থায় নিজের ইন্ডাস্ট্রিকে একা ছেড়ে দিলেন তিনি?
উত্তরে শত্রুঘ্ন স্পষ্ট বলেন, এখন বেশিরভাগ মানুষ সরকারের নেক নজরে থাকার চেষ্টা করছেন। সরকারের ঘনিষ্ঠ লোকজনের বেশি কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছেন। উপরন্তু করোনার জেরে প্রায় সব ইন্ডাস্ট্রিই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোহিত শেট্টির ভাল ছবি তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। অন্যান্যদের ছবি তো একেবারেই ফ্লপ হয়েছে।
এর দুটো কারণ বলেছেন শত্রুঘ্ন। প্রথমত করোনা, আর দ্বিতীয়ত দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির বাড়বাড়ন্য। এখন দর্শকরা তামিল, তেলুগু ভাষারও ছবি দেখছেন। তবে বলিউডকে খোঁচা মারারও কোনো সুযোগ ছাড়েননি শত্রুঘ্ন।
তিনি বলেন, বলিউড ভয় পেয়ে রয়েছে এটা ঠিক। কারণ সব জায়গা থেকে বহু মানুষ তাঁকে নির্বাচনে জেতার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছে। অথচ আশ্চর্যের ব্যাপার, বলিউড থেকে মাত্র কয়েকজন বাদে আর কেউ তাঁকে শুভেচ্ছা পাঠাননি। এতটাই ভয় পেয়ে রয়েছেন যে কেউ ফোন পর্যন্ত করেননি। যদি ফোনে কেউ আড়ি পাতে।
শত্রুঘ্ন বলেন, যখন সামনাসামনি হয় তখন প্রশংসায় ভরিয়ে দেয় সবাই, যেন তাঁকে নিয়ে সবাই কতই গর্বিত। তাঁর গলা জড়িয়ে বাহবা দেবেন সবাই। এটাই বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আসল চেহারা বলে কটাক্ষ করেন শত্রুঘ্ন।