বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার বাসিন্দা না হয়ে বাংলার ভোটে লড়তে এসে বিরোধীদের বহিরাগত বানে বিদ্ধ শত্রুঘ্ন সিনহা। এবার এই ইস্যুতেই সরব হলেন তিনি। একটি অরাজনৈতিক সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাঁরা দাবি,’আমি বহিরাগত হলে বারাণসীতে নরেন্দ্র মোদীও বহিরাগত।’
আসানসোলে ইওর ভয়েস নামক অরাজনৈতিক সংস্থার ওই অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, চন্দ্রনাথ সিনহা সহ রাজ্যের একাধিক তাবড় নেতৃত্ব। সেখানেই বিজেপি প্রসঙ্গে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘আমি বাজপেয়ীজির বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। সেই বিজেপি আজ আর নেই।’
এর পরই তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা বহিরাগত তত্ত্বের ব্যাখ্যা দিতে দেখা যায় তাঁকে। এদিন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, ‘আমি আপনাদের লোক। আমি বহিরাগত হলে ইনসাইডার কে? আসানসোলে ৫০% হিন্দিভাষী ভোট। তুমি তাদের ভোট চাইতে যাচ্ছো। তুমি তাদের নেতা বাছতে দিচ্ছো না। আর আমাকে বহিরাগত বলছো? আমি দেশের মানুষ, আমি দেশের সন্তান। ইন্দিরা গান্ধি থেকে রাহুল গান্ধি। সুচেতা কৃপালিনী থেকে সুষমা স্বরাজ। সবাই অন্য রাজ্যে গিয়ে লড়েছেন ৷ আর আমি বহিরাগত হলে, প্রধানমন্ত্রী তো বারাণসীতে লড়তে এলেন। তাহলে কী করে আমি হলাম বহিরাগত আর উনি হলেন ইনসাইডার?’
শত্রুঘ্ন সিনহা আরও যুক্ত করেন, ‘আমি আসলে আপনার লোক ৷ অন্তর্জলি যাত্রা আমার কেরিয়ারের শ্রেষ্ঠ সিনেমা। যা বাংলায় করেছি। আমি এফটিআইতে সুযোগ পেয়ে আমি ক্যালকাটা সেন্টার বাছাই করেছি। আমি বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি, মিষ্টি ভালোবাসি ৷ আমি ডাল, মুড়িঘণ্ট, ইলিশ মাছ আর ডাবের জল খাওয়া লোক। এর পরেও আমাকে বাইরের লোক বলে কেন?’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও করতে শোনা যায় তাঁকে। আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থীর মতে, ‘চারিদিক থেকে সদর্থক প্রতিক্রিয়াই পাচ্ছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আমি গর্বিত। উনি বাংলার বাঘিনী। আমি বিশ্বাস করি আমি আসানসোলের মানুষের ভরসা জয় করতে পারব।’