ইচ্ছেপূরণ! ৬২ বছর বয়সে শাড়ি পড়েই কেরালার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করলেন এই মহিলা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কথায় আছে “ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়”, অর্থাৎ মানসিক ভাবে প্রস্তুত হলেই যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূর করা যায় সেটাই যেন ফের একবার প্রমাণিত হল। পাশাপাশি, মহিলারা চাইলেই যে অসাধ্য সাধন করতে পারেন সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন এক লড়াকু নারী। একটা সময়ে ছিল যখন আমাদের দেশে মহিলারা বাড়ির বাইরেই বেরোতে পারতেন না। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে তাঁদের ইচ্ছেরও কোনো দাম ছিলনা বললেই চলে।

কিন্তু, এখন সেই সময় পাল্টেছে। তার সাথে পরিবর্তিত হয়েছে মানসিকতারও। বর্তমান আধুনিক যুগে এখন মহিলারাও পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছেন। এমনকি, আমাদের দেশেও সেই চিত্র ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পদগুলিতে মহিলাদের উপস্থিতি আমরা সকলেই দেখেছি।

   

এমতাবস্থায়, ৬২ বছর বয়সে নিজের স্বপ্নপূরণ করলেন এক বৃদ্ধা। সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে তিনি জয় করে ফেললেন পশ্চিমঘাট পর্বতের একটি অন্যতম চূড়াকে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই সকলেই হতবাক হয়েছেন। পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমেও।

জানা গিয়েছে যে, যে বৃদ্ধা এই অসাধ্য সাধন করেছেন তাঁর নাম হল নাগরত্নম্মা। ৬২ বছর বয়সেই বিরাট কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তিনি। এই বয়সেই তিনি কেরালার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ তিরুবনন্তপুরমের অগস্ত্য কুদম আরোহণ করেছেন। পাশাপাশি, নাগরত্নম্মার এই চূড়ায় আরোহণের পুঙ্খানুপুঙ্খ ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরে তিনি রাতারাতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন।

নাগরত্নম্মার শৃঙ্গ জয়:
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি, নাগরত্নম্মা অগস্ত্য কুদমের চূড়ায় আরোহণ করেছিলেন। তিরুবনন্তপুরমের অগস্ত্য কুদম সহ্যাদ্রি পর্বতমালার সর্বোচ্চ এবং সবচেয়ে কঠিন শৃঙ্গগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হিসেবে পরিগণিত হয়। স্বাভাবিকভাবেই, এই শৃঙ্গজয়ের কাজ মোটেই সহজ ছিলনা। নাগরত্নম্মার সাথে তাঁর ছেলে এবং ছেলের বন্ধুরা ছিলেন। এটিই ছিল নাগরত্নম্মার প্রথম ট্রেকিং। আর তাতেই মেলে অভূতপূর্ব সাফল্য। বিয়ের পর সংসার ও গৃহস্থালির কাজে নিয়োজিত একজন গৃহিণী হয়েও এই বয়সে তাঁর সাহস ও মনের জোর বজায় রেখেছিলেন নাগরত্নম্মা।

শাড়ি পরেই শৃঙ্গ জয়:
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, উচ্চ শৃঙ্গে ট্রেকিং করাকালীন নাগরত্নম্মা কোন ট্রেকিং স্যুট বা প্যান্ট অথবা সালোয়ার নয় বরং ঐতিহ্যবাহী শাড়ি পরেই তা জয় করেন তিনি। আর বর্তমানে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে এই দৃশ্য দেখেই নেটিজেনরা কুর্ণিশ জানিয়েছেন তাঁকে। বয়সের তোয়াক্কা না করে তিনি যেভাবে আনন্দের সাথে এই শৃঙ্গ জয় করেছেন তা দেখে অভিভূত নেটাগরিকরা। পাশাপাশি, ভিডিওটির পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের মতামতও জানান তাঁরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর