জাতীয়স্তরের খেলায় জিতেছেন বহু গোল্ড মেডেল, অর্থের টানে করতে হচ্ছে শ্রমিকের কাজ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সংসারের টানাপড়েনে অধরাই থেকে গেল হরিয়ানার (Haryana) শিক্ষার স্বপ্ন। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ঠিকমত করাই হল না আর প্রশিক্ষণ। সংসারের সুবিধার্থে তাই লেগে পড়ল মনরেগার কাজে। দুর্দিনে যেটুকু সাহায্য হয় পরিবারের। দেশের জন্য স্বর্ণপদক বিজেতা বর্তমানে পেটের দায়ে মনরেগার কাজ করছে।

স্বর্ণ জয়ী শিক্ষা
শিক্ষা, হরিয়ানার রোহটক জেলার ইন্দরগড় গ্রামের বাসিন্দা। বিগত তিন বছর ধরে ক্রীড়া বিভাগ থেকে নগদ পুরষ্কার এবং এসসি বিভাগে প্রাপ্ত অর্থের জন্য অপেক্ষা করছে। এই শিক্ষাই এক সময় দেশের জন্য ওজন বিভাগে রূপো, ব্রোঞ্জ এমনকি সোনাও এনে দিয়েছে। উশু গেমসে ৫৬ এবং ৬০ কিলোগ্রাম ওজন বিভাগে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রীয় স্তরে ৯ বার স্বর্ণপদক, রাজ্যস্তরে ২৪ বার স্বর্ণপদক এবং বহুবার রূপো এবং ব্রোঞ্জের পদক লাভ করেছেন।

new 2 5

যোগ দিয়েছে মনরেগার কাজে
দেশের এই সফলতম খেলোয়াড় বর্তমানে বাড়ির আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে প্রশিক্ষণ, পড়াশুনা ছেড়ে মনরেগার কাজে অংশ নিয়েছে। শিক্ষা জানিয়েছে, সরকারী সাহায্য প্রার্থীদের তালিকায় তাঁর নাম থাকলেও, সে কোন সুযোগ সুবিধাই পায়নি। বর্তমানে পরিবারের সদস্যদের সাথে মনরেগায় কাজ করে সংসারে অর্থ সাহায্য করছে। সে সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছে, তাঁর খেলাধূলার সাফল্য বিবেচনা করে, তাঁকে একটি চাকরি পাইয়ে দেওয়া হোক।

সাহায্য মিলবে সরকারী তরফে
দু’বার অল ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি উশু চ্যাম্পিয়নশিপ এমডিইউয়ের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং রৌপ্য পদক অর্জন করেছে শিক্ষা। তাঁর মা জানিয়েছে, ‘মেয়েকে অনেক পরিশ্রম করে, অন্য রাজ্যে খেলতে পাঠাতাম। মেয়ে পদক জিতলে আমরাও খুশি হই। তবে সরকারী তরফ থেকে এখনও অবধি কোনরকম সুযোগ সুবিধা বা সরকারী চাকরি মেয়ে পায়নি’। এবিষয়ে এমডিইউ রোহটাক স্পোর্টস ডিরেক্টর ডঃ দেবেন্দ্র সিং ধুল জানিয়েছেন, সরকারী তরফ থেকে খেলোয়াড়দের ক্ষতি হতে দেওয়া হবে না। শিক্ষাকে দ্রুতই আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর