বাংলা হান্ট ডেস্ক: সদ্যই আমেরিকার সিংহাসনে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন এক আলাদাই খুশির বাতাবরণ, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেয়ে আনন্দে আপ্লুত গোটা সাম্রাজ্যবাসী। উল্টোদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হতেই ইউনূস সরকার বুকে ফুঁ দিচ্ছেন। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি বাংলাদেশ সরকারের গদিতে থাবা বসাতে পারেন। আর এমন মুহূর্তে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) রীতিমতো বোমা ফাটানোর মতো কাজ করলেন। যা দেখে রীতিমতো সকলেই হতবাক। শুরু হয়েছে জোরদার মন্তব্য।
কি করেছেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina):
জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার মেয়াদে আসার পর ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা বার্তা জানানোর সময় তিনি নিজেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেই দাবি করেন। জানা গিয়েছে, ফোনে এবং চিঠিতে যে মাধ্যমেই শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছে, সেখানে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তখন চারিদিক থেকে শুভেচ্ছা বার্তা বয়ে আসছে ফোনের মাধ্যমে। আর তখনই বাংলাদেশ থেকে পতন হওয়া শেখ হাসিনার চিঠির মাধ্যমে ট্রাম্পকে অভিনন্দন বার্তা পাঠান। চিঠিতে তিনি লেখেন, বাংলাদেশের দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, বাংলাদেশের মানুষের তরফ থেকে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে তিনি শুধু, অভিনন্দনই নয় পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফেরার ইচ্ছাও জানিয়েছেন। পরবর্তীতে এই চিঠি শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দল আওয়ামী লীগের তরফ থেকে সমাজ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। যা দেখেই হতবাক হয়েছেন সকলেই।
আরও পড়ুন: এবারে হবে আসল ধামাকা! কেরিয়ারের সবথেকে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন নীরজ চোপড়া
এছাড়াও আওয়ামী লিগের সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ করেন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “বাংলাদেশ আওয়ামি লিগের সভাপতি, (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রথমবার প্রেসিডেন্ট পদে থাকার সময় ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর বৈঠক ও কথোপকথন তিনি স্মরণ করেছেন।”
আরও পড়ুন: ভারতীয় দলে রিঙ্কু সিংয়ের প্রতি হচ্ছে অবিচার? উঠল বড় প্রশ্ন, হইচই শুরু অনুরাগীদের মধ্যে
তবে প্রশ্ন উঠছে, যেখানে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ৫ আগস্ট পাকাপাকিভাবে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন, সেখানে তিনি কি করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী বলে দাবী করছেন। তাহলে কি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ওই দাবি কি ঠিক? বিশেষজ্ঞ মহল থেকে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। যদিও এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি করে ইউনূসের কার্যালয় থেকে জরুরী বৈঠক ডাকা হয়। যদি বৈঠক ঠিক কি কারনে ডাকা হয়েছিল সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু এদিকে তার আগেই নিজের ভালোটা বুঝে হাসিনার আগেই ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে দেন মহম্মদ ইউনূস। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে ট্রাম্প কতটা প্রভাব ফেলবে সেকথা এখনোও স্পষ্ট নয়।