মমতার সঙ্গে দেখা হল না! চারদিনের ভারত সফরে আক্ষেপ রয়ে গেল শেখ হাসিনার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (PM of Bangladesh) শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) চার দিনের ভারত (India) সফরে এসেছেন। সোমবার দুপুরেই দিল্লি (Delhi)পৌঁছন তিনি। গতকাল দিল্লিতে নৈশভোজে উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রসঙ্গও। শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের বললেন, ‘মমতা আমার বোনের মতো। ভেবেছিলাম দিল্লি এলে দেখা হবে। কোনও কারণে এ বার সেটা হল না। তবে তাঁর সাথে তো যে কোনও সময়েই আমার দেখা হতে পারে!’ দিল্লিতে দেখা করার কথা জানিয়ে মমতাকে চি‌ঠিও দেন শেখ হাসিনা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে ওই চিঠিতে তিনি পদ্মা সেতু দেখার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। মমতার সঙ্গে সখ্যতা বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সোমবার চার দিনের ভারতে আসেন। গতকাল দুপুরে দিল্লিতে পৌঁছন শেখ হাসিনা। সন্ধ্যায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রাতে চাণক্যপুরীর বাংলাদেশ ভবনে তাঁর দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী।

jpg 2

আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পাশাপাশি দু’দেশের শীর্ষ প্রতিনিধি দলের বৈঠক এবং প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, জলসম্পদ, যোগাযোগ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক চুক্তিপত্র সই হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তবে তিস্তার জলবণ্টন সমস্যা নিয়ে এখনও কোনও স্থায়ী সমাধান হয় নি। যদিও হাসিনা জানান তিনি অত্যন্ত আশাবাদী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের সরকার চাইলে কী হতে পারে স্থলসীমান্ত চুক্তি তার প্রমাণ। অন্য দেশ যখন সীমান্ত নিয়ে যুদ্ধ করে, তখন আমরা সুন্দর ভাবে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছি।’

নৈশভোজে এ দিন বেশ হাসিখুশিই ছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি জানান, ইলিশ রফতানির ছাড়পত্র দিয়েই তিনি দিল্লি সফরে এসেছ‌েন। পূজার সময় এ দেশের মানুষকে এটা তাঁর উপহার। করোনার অতিমারির কালেও বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। তবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বোঝা বাংলাদেশের মাথায় চেপে বসছে। হাসিনা এদিন বলেন, ‘এগারো লক্ষ শরণার্থী। ভারত বড় দেশ। রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে পাঠানোর বিষয়ে ভারত তৎপর হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

gpk4prsg sheikh

কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশের চাষআবাদে প্রধান ভরসা নদীর জলই। নদী নিয়ে সমস্যায় চিন্তিত হাসিনাও। তিনি জানান, নিম্ন অববাহিকায় পলি জমে নদীতে। নাব্যতা ভীষণ ভাবে কমে যায়। পলি সরাতে সমস্ত নদীই ড্রেজ়িং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। তিস্তাও ড্রেজ়িং করা হবে। হাসিনা বলেন, ‘ড্রেজ়িং ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। ভূগর্ভের জল নয়, নদীর জলেই আমাদের কৃষিকাজ চলে। এখন ভারত যদি এ জন্য ঋণসাহায্য দেয়, খুবই ভাল হয়!’

Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর