বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজপথে নেমেছে বিরোধীরা। প্রাণহানির আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) উড়ে এসেছেন দিল্লিতে। আপাতত ভারতেই রয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারত থেকে তিনি কোথায় যাবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিমান যেটি করে তিনি উড়ে এসেছেন ভারতে (India)। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পরিবহণ বিমান সি-১৩০জে-তে (C130J) চেপে ঢাকা থেকে শেখ হাসিনা এসেছেন দিল্লি।
আরোও পড়ুন : বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল ভারতের মুখ! সেরা পাঁচে দখল নিতেই সুর নরম করল চীন
আমেরিকান কোম্পানি লকহিড মার্টিন নির্মাণ করেছে সি-১৩০জে বিমানটি। সি-১৩০ হারকিউলিসের (C-130J Super Hercules) লেটেস্ট ভার্সন এটি। লকহিড মার্টিন (Lockheed Martin) সংস্থা এখনো পর্যন্ত ২০টিরও বেশি দেশে বিক্রি করেছে সি-১৩০ জে হারকিউলিস বিমান।
আরোও পড়ুন : হয়ে গেল কনফার্ম! এবার উৎক্ষেপণ হবে আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট-৮, ইতিহাস গড়ার পথে ISRO
কোনও দেশের সর্বোচ্চ পদে থাকা ব্যক্তিরাই ব্যবহার করে থাকেন এই বিমান। চার ইঞ্জিনের এই টার্বোপ্রপ মিলিটারি কার্গো বিমানে রয়েছে নতুন ইঞ্জিন, ফ্লাইট ডেক এবং অন্যান্য একাধিক আধুনিক বৈশিষ্ট্য। ট্যাকটিক্যাল এয়ারলিফট, অনুসন্ধান ও স্পেশাল অপারেশনের জন্য ব্যবহার করা হয় এই বিমান।
শেখ হাসিনাকে নিয়ে আসা সি-১৩০ জে হারকিউলিস বিমানের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য:
• ২৬ হাজার ফুট উচ্চতায় ২০,২২৭ কেজি ওজন নিয়ে উড়তে সক্ষম এই বিমান।
• ২২ হাজার ফুট উচ্চতায় এই বিমানটি অতিক্রম করতে পারে প্রতি ঘন্টায় ৪১০ মাইল পথ।
• এটির সর্বোচ্চ ওজন প্রায় ৪৪ হাজার পাউন্ড।
• এছাড়াও নতুন সুপার হারকিউলিসে রয়েছে ফ্লাইট স্টেশন, যেটিতে মাল্টি ফাংশন এলসিডি স্ক্রিন দেওয়া হয়েছে। ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ, অপারেটিং এবং নেভিগেশন সিস্টেমের জন্য মাল্টি ফাংশন এলসিডি স্ক্রিন অত্যন্ত সহায়ক। ইনস্ট্রুমেন্ট প্যানেলে চারটি ডিসপ্লে ছাড়াও এই বিমানে পাইলটদের জন্য রয়েছে হলোগ্রাফিক হেড আপ ডিসপ্লে, এই ফিচার্স অন্যান্য সামরিক বিমানে খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না।