বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবাসন বিতর্কে দুর্নীতির জেরে ইংল্যান্ডের মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা ব্রিটেনের ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকির। টিউলিপ সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বোনঝি। টিউলিপ গত মঙ্গলবার নিজের ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারকে।
শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বোনঝির পদত্যাগ
সেই ইস্তফাপত্রে অবশ্য টিউলিপ নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নিজের ইস্তফা পত্রে টিউলিপ লিখেছেন, ‘আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই, যে যতদিন আমি কাজ করেছি ততদিন স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছি। তবে এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে বর্তমান সময়ে ট্রেজারির ইকোনমিক সেক্রেটারি হিসেবে আমার কাজ চালিয়ে যাওয়া সরকারের কাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।”
পাশাপাশি হাসিনার (Sheikh Hasina) বোনঝি আরোও উল্লেখ করেন, “আমি নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’ ইস্তফা পত্র গ্রহণের পর ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, অত্যন্ত দুঃখের সাথে এই পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করছি। তবে টিউলিপের জন্য সব সময় দরজা খোলা থাকবে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে।
আরোও পড়ুন : রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক! জেলমুক্তি কবে?
এমনকি বিতর্ক থেকে বাদ যাননি শেখ হাসিনার বোনঝি ব্রিটেনের মন্ত্রী টিউলিপও। টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, শেখ হাসিনার বোনঝি টিউলিপকে আওয়ামী লীগের নেতারা ইংল্যান্ডে বিপুল সম্পত্তি উপহার হিসেবে দিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যম রয়টর্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের এক আইনজীবী ২০০৯ সালে টিউলিপকে উত্তর লন্ডনে একটি আবাসন উপহার দেন।
সেই আইনজীবী আবার ছিলেন হাসিনা সরকারের প্রতিনিধি। এহেন পরিস্থিতিতে টিউলিপকে (Tulip Siddiq) মন্ত্রীপদ থেকে সরাতে বিরোধীরা ক্রমশ চাপ সৃষ্টি করতে থাকে স্টার্মারের উপর। গোটা ইংল্যান্ড (United Kingdom) জুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। অবশেষে বিতর্কের চাপে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন শেখ হাসিনার বোনঝি টিউলিপ।