বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাংলাদেশে (Bangladesh) জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। হিংসাত্মক আন্দোলনের কারণে ভারতের এই পড়শি দেশ বারংবার উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এদিকে, গত সপ্তাহের শেষের দিকেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ঘটেছে সরকারি সম্পত্তিতে অগ্নি সংযোগের ঘটনাও।
বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা শেখ হাসিনার:
এমতাবস্থায়, ক্রমশ শোচনীয় হয়ে পড়ে বাংলাদেশের (Bnagladesh) পরিস্থিতি। ঠিক এই আবহেই একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। ঢাকা ট্রিবিউনের খবর অনুযায়ী হয়, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।
এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের (Bangladesh) ক্রমাগত শোচনীয় পরিস্থিতির মধ্যেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে চলেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। উল্লেখ্য যে, দেশব্যাপী কারফিউ উপেক্ষা করে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ঢাকার শাহবাগ মোড়ে লংমার্চে জড়ো হয়েছেন। এর আগে গত রবিবার হিংসাত্মক আন্দোলনের জেরে শতাধিক মানুষ মারা যান।
আরও পড়ুন: রক্তাক্ত শেয়ার বাজার! ৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন, উধাও বিনিয়োগকারীদের ১৬ লক্ষ কোটি টাকা
বিক্ষোভকারীরা লংমার্চের ডাক দেন: কিছুদিন আগে পাকিস্তানে যেমন অবস্থা হয়েছিল, বাংলাদেশের (Bangladesh) অবস্থাও ঠিক তেমনই হয়েছিল। পাকিস্তানের মতো অভ্যন্তরীণ কোন্দলে থাকা বাংলাদেশে দেওয়া হয়েছিল লংমার্চের ডাক। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আইন অমান্য আন্দোলনের ঘোষণা করেন বাংলাদেশের ছাত্র নেতারা।
আরও পড়ুন: অবসরের প্ল্যান করে ফেললেন গৌতম আদানি, কার হাতে যাবে বিশাল সাম্রাজ্য? জানলে হয়ে যাবেন “থ”
বিক্ষোভকারী ও সরকার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ: বাংলাদেশে (Bangladesh) সর্বশেষ হিংসাত্মক আন্দোলনের ঘটনা ঘটে গত ৫ অগাস্ট। ওইদিন ভোরে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভ শুরু করে। সেই সময়ে আন্দোলনকারী ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভ এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। নিরাপত্তা বাহিনী হিংস্র জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এই বিক্ষোভের জেরে বহু পুলিশ কর্মীও প্রাণ হারান।