বাংলা হান্ট ডেস্কঃ “জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত-জালিয়াৎ খেলছ জুয়া” কবিতার লাইনে ধর্মবিদ্বেষ ধর্মের আকারে অনেক কবি লেখক সাহিত্য তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে গেছেন। ধর্মের লেলিহান শিখা কে কোন সময় নিজের গণ্ডির বাইরে বেরোতে দেয়নি। সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই। অনন্ত বিশ্ব এ অমৃতের সন্তান হল মানুষ। বিধাতা বলে সত্যিই যদি কেউ থাকেন তবে তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হল মানুষ। সেই না থাকলে “মিথ্যা হত সন্ধ্যাতারা ওঠা মিথ্যা হত কাননে ফুল ফোটা” কিন্তু এই ধর্ম নিয়েই যেন বাংলাদেশে একের পর এক ঘটনা দানা বেঁধে উঠছে। আর এই ঘটনাগুলোর নেপথ্যে স্থান করে নিচ্ছে মৌলভীদের একাংশের মত। ভারতের বিরোধী দলগুলো যখন ভারতকে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার জন্য মোদি সরকার এর দিকে তেড়ে আসেন তখন কিন্তু চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সরকারের দিকে।
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি তারাও কিছু কম করছেন না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দু। আর ভারতে কিভাবে হিন্দু মুসলিম খৃষ্টান জৈন সকলে বসবাসের উপযোগী স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আর সেখানে এই ধরনের ঘটনা কোন মতেই কাম্য নয়। হিন্দুদের ওপর যাতে কোনো রকম অত্যাচারের ঘটনা না ঘটে সেজন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও নিয়ে মাঠে নেমেছেন। সম্প্রতি এক ঘটনা ঘটে যাওয়া বিবৃতি দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভোলার বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় এক হিন্দু ছেলের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে গুজব ছড়ানো হয়েছে। যে এ কাজটি করেছে সে মুসলমান। মুসলিম হয়ে কিভাবে মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিষয়ে খারাপ কথা লিখে অন্যকে ফাঁসায় তা বোধগম্য নয়।”