হেফাজত থেকেই চিঠি লিখলেন শাহজাহান! কী লেখা আছে তাতে? ‘ফাঁস’ হতেই শোরগোল রাজ্যে!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) নিয়ে চর্চা যেন শেষ হচ্ছে না! সপ্তাহের সাতদিনই কোনও না কোনও কারণে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসছেন সন্দেশখালির ‘বাঘ’। শনিবার যেমন ‘চিঠি’ লিখে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন তিনি। হেফাজতে থাকাকালীন ইডির (Enforcement Directorate) বিরুদ্ধে চিঠি লিখেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে এনেছেন মারাত্মক সব অভিযোগ।

শনিবার শাহজাহানের ইডি (ED) হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আজ তাঁকে আদালতে তোলা হলে তাঁর আইনজীবী তাঁর লেখা চিঠি প্রকাশ্যে আনেন। সেই চিঠি পড়ে শোনাতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। শাহজাহানের আইনজীবী জাকির হোসেনের বক্তব্য, এটা পিটিশন। এরপর মক্কেলের লেখা চিঠি পড়ে শোনাতে শুরু করেন তিনি।

শাহজাহানের লেখা চিঠিতে লেখা আছে, ’০১/০৪/২০২৪ থেকে ১৩/০৪/২০২৪ অবধি আমি ইডি হেফাজতে ছিলাম। এই সময়কালে আমায় হুমকি দিয়ে মিথ্যা বয়ান রেকর্ড করানো হয়েছে। বলা হয়েছে, যদি বয়ান না দিই তাহলে আমার ভাই ও আত্মীয়দের মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে’।

আরও পড়ুনঃ শাহজাহান তো নস্যি! এবার ভাই আলমগিরের বিরাট কীর্তি ‘ফাঁস’ করল ED

শাহজাহানের এই চিঠি পড়ে শোনানোর পরেই এজলাসে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ফুঁসে ওঠেন ইডির তদন্তকারী অফিসার জানতে চান, এই চিঠি সন্দেশখালির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা লিখেছেন কিনা। ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তীও চিঠি নিয়ে আপত্তি করেন।

সব মিলিয়ে, শাহজাহানের লেখা এই চিঠি পড়ে শোনানোর পর রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এজলাস। আদালত অবশ্য শেষ অবধি এই চিঠি গ্রহণ করে। তবে জানানো হয়, আগামী ১৫ এপ্রিল ইডির বিশেষ আদালতে এই নিয়ে শুনানি হবে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, ১৫ তারিখ অবধি জেল হেফাজতে থাকবেন সন্দেশখালির এই সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা।

sheikh shahjahan sandeshkhali leader

প্রসঙ্গত, প্রথমে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তদন্তে গিয়ে প্রহৃত হন ইডি আধিকারিকরা। বর্তমানে হাই কোর্টের নির্দেশে এই মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। অন্যদিকে ইডির স্ক্যানারে রয়েছে শাহজাহানের বিপুল সম্পত্তি। ইতিমধ্যেই তাঁর বেআইনি আর্থিক লেনদেন সম্বন্ধিত একাধিক তথ্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে উঠে এসেছে বলে খবর। তদন্ত যত এগোবে ততই রহস্য থেকে পর্দা উঠবে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর