বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই প্রকট হচ্ছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ঘোষণা করেছিলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কারা তা ঠিক করবেন দলের কর্মীরাই। এনিয়ে প্রবল অশান্তি শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে একেবারে তৃণমূল স্তরে না হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের যে ব্লক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে নেই নন্দীগ্রামের প্রভাবশালী নেতা শেখ সুফিয়ানের নাম। এনিয়ে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতা।
শুধু তাই নয়, তৃণমূলের যে ব্লক কমিটি ঘোষণা করা হয় সেখানে সুফিয়ানের অনুগামীদেরও রাখা হয়নি। ওই কমিটিতে নেই সুফিয়ান অনুগত প্রাক্তন ব্লক সভাপতি রঞ্জন দাসেরও। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহকারী সভাপতি তথা নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রসিডেন্ট শেখ সুফিয়ান।
কমিটিতে তাঁকে না রাখা নিয়ে সরব হন সুফিয়ান। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে যখন তৃণমূল ছিল না তখন আমাদের প্রয়োজন ছিল। এই নন্দীগ্রামে যখন তৃণমূলের প্রদীপ নিভে গিয়েছিল তখন এই সুফিয়ান আন্দোলন করে তৃণমূল দলটাকে জাগ্রত করেছিলাম।
গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভোটে মমতার নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন শেখ সুফিয়ান। হাইভোল্টেজ সেই নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতে পারেননি সুফিয়ান। তবে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের মানুষ ছিলেন সুফিয়ান।
এই প্রসঙ্গে সুফিয়ান বলেন, ‘নন্দীগ্রামে যখন ২০০৭ সালে ভূমি আন্দোলন হয় তখন আমাদের ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি করেছিল দল। সেই নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আজকের বাংলায় বদল এসেছিল। নতুন সরকারের আমলে ২০০৮ সালে পুর্ত কর্মাধক্ষ্য, ২০০১৩ ও ২০১৮ সালে দলের সহ-সভাপতির থাকার সুবাদে নন্দীগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নন্দীগ্রামের মানুষ তা জানে। দলের সেই জায়গাটা ধরে রেখেছি। কিন্তু বর্তমানে যারা দলচাকে নতুন করে নিয়ে আসবে ভাবছে তাদের নিয়ে এখনই কিছু বলছি না। আমার নাম কমিটিতে আছে কী নেই তা জানি না। দলের উপরতল বিষয়টি নিয়ে ভাববে। আমি দলের একজন সাধারণ সৈনিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী।’