বাংলাহান্ট ডেস্ক: শিখ সম্প্রদায়ের (shikh community) বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করার জন্য পুলিসে অভিযোগ দায়ের হল কঙ্গনা রানাওয়াতের (kangana ranawat) নামে। অভিযোগ দায়ের করেছে দিল্লি শিখ গুরুদ্বারা ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। মন্দির মার্গ পুলিস স্টেশনের সাইবার শাখায় দায়ের হয় অভিযোগ।
অভিযোগ বলা হয়েছে, ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবে এবং ‘জেনেশুনে’ কৃষক আন্দোলনকে ‘খালিস্তানি বিদ্রোহ’এর নাম দিয়েছিলেন কঙ্গনা। শিখ সম্প্রদায়কে ‘খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী’ বলেছেন তিনি এবং ১৯৮৪ সাল ও তার আগে যে শিখদের গণহত্যা হয়েছিল তা ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পরিকল্পনা মাফিক হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা হয়তো আজ সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু একজন মহিলাকে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। একজনই মহিলা প্রধানমন্ত্রী এদের জুতোর নীচে পিষে মেরেছিলেন। দেশকে যতই দুর্দশায় ফেলুন না কেন, নিজের প্রাণের বিনিময়ে তিনি এদের মশার মতো পিষে মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু দেশকে টুকরো টুকরো হতে দেননি। তাঁর মৃত্যুর কয়েক দশক পর এখনো তাঁর নামে কেঁপে ওঠে এরা। এদের এমনি গুরু চাই।’
একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেই চলেছেন কঙ্গনা। এর আগে তিনি বলেন, ১৯৪৭ এ পাওয়া স্বাধীনতা আসলে ব্রিটিশদের দেওয়া ভিক্ষা। ২০১৪ তে ভারত সত্যি সত্যি স্বাধীন হয়েছিল। এই মন্তব্যের জেরে তাঁর পদ্মশ্রী ফিরিয়ে নিয়ে গ্রেফতার করার ডাক উঠতেই বিষয়টা নিয়ে মুখ খোলেন কঙ্গনা। পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিতে রাজি আছেন তিনি।
তবে তার বদলে একটি শর্ত মানতে হবে তাঁর। কঙ্গনার প্রশ্ন, ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার প্রথমবার বিদ্রোহ হয়েছিল। সেটা তিনি জানেন। কিন্তু ১৯৪৭ সালে কোন বিদ্রোহ হয়েছিল? সেটা তিনি জানেন না। কঙ্গনার শর্ত, তাঁকে যদি কেউ এটার উত্তর বলে দেয় তাহলে তিনি পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেবেন এবং ক্ষমাও চাইবেন।
কঙ্গনা আরো বলেছেন, যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে ওই সাক্ষাৎকারে তিনি একবারও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অসম্মান করেছেন তাহলেও তিনি পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেবেন। অভিনেত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, তিনি রাণী লক্ষ্মীবাঈয়ের উপরে তৈরি ছবিতে নিজে অভিনয় করেছেন। ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ নিয়ে গভীরে গবেষণা করেছেন।
ডানপন্থীদের সঙ্গে জাতীয়তাবাদও তুঙ্গে উঠেছিল। কিন্তু সেটা হঠাৎ করেই ঝিমিয়ে পড়ল কেন? গান্ধীজি ভগৎ সিংকে শহিদ হতে দিলেন কেন? নেতাজিকে মারা হল আর গান্ধীজি তাঁকে সাহায্য করলেন না কেন? একজন শ্বেতাঙ্গ ভারতকে ভাগ করে দিল কেন? প্রশ্ন তুলেছেন কঙ্গনা। সঙ্গে তাঁর সাফাই, তিনি বলেছেন, শারীরিক ভাবে স্বাধীনতা হয়তো আগেই পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু যে স্বাধীনতা, চেতনা জেগেছে ২০১৪ তেই।