আত্মসম্মান বজায় রেখে বাড়ি ছাড়ল শিমুল! টিভির আগেই ফাঁস ‘কার কাছে কই মনের কথা’র ধামাকা এপিসোড

বাংলা হান্ট ডেস্ক : চলতি সময়ে যে কয়টা বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial ) দর্শকমহলে ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছে তারমধ্যে একটা হল জি বাংলার ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar kache Koi Moner Kotha)। মানালি দে-র (Manali Dey) এই মেগা সমাজের একাংশের নগ্ন চিত্র তুলে ধরেছে যেন। ধারাবাহিকের শুরু থেকেই সাংসারিক কূটকাটালিকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছে এই মেগা।

এই সিরিয়ালের প্রথম যে দৃশ্যটি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল তা হল ফুলশয্যার খাটে মা আর ছেলের ঘুমানো। অসুস্থতার ভান করে ফুলশয্যার রাতে ছেলের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে মা‌। এদিকে নতুন বউয়ের জায়গা হয়েছে সোফায়। এছাড়াও শিমুলের ইচ্ছের বিরুদ্ধে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘটনাও দেখানো হয়েছে সিরিয়ালে।

পাশাপাশি বাপের বাড়ি যেতে না দেওয়া, পাড়ার লোকের সঙ্গে মিশতে না দেওয়া, শাস্তি স্বরূপ রাত-বিরেতে বাড়ি থেকে বের করার মতো দৃশ্যও দেখানো হয়েছে এই সিরয়ালে। আসলে এখন সমাজ খানিকটা বদলালেও আজ থেকে কয়েক দশক আগে এই বিষয়গুলো ভিষণই সাধারণ ছিল। এমনকি এখনও যে এরকম পরিবার নেই তা একেবারেই হলফ করে বলা যায়না।

আরও পড়ুন : মাখোমাখো প্রেম শেষ! অর্জুনের পরিবারের উদ্দেশ্যে এবার বিশেষ পদক্ষেপ নিলেন অভিনেত্রী

নতুন বউ মানেই সে স্বামী শাশুড়ির হাতের কাঠপুতুল। আর কার্যত সেই ধ্যান ধারণারই বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কথা বলছে মানালির এই সিরিয়াল। দিন কয়েক আগেই দেখেছেন পাড়ার প্রোগ্রামে নাচ করার জন্য সকলের সামনেই শিমুলকে চড় মেরেছেন মধুবালা দেবী। এমনকি ‘ঘোমটার তলায় খ্যামটা’ বলে অপমানও করেছেন। শুরু হয়েছে চরম অশান্তি।

আরও পড়ুন : কীভাবে মারা হয়েছিল ওই ছাত্রকে? যাদবপুরকাণ্ডে মর্মান্তিক তথ্য তুলে ধরল পুলিশ! জেল হেফাজত সৌরভের

যদিও এই ঘটনায় রুখে দাঁড়ায় শিমুলের পাড়ার বান্ধবীরা। শিমুলের উপর নিগ্রহ বাড়লে থানা পুলিশও হতে পারে বলে শাসিয়ে যায় তারা। তবে এই পর্বের পর দর্শকদের একাংশের জোরালো প্রতিবাদ উঠছে, কীভাবে আজকের দিনে দাঁড়িয়েও একটা ধারাবাহিক বৈবাহিক শারীরিক ও যৌন নিগ্রহণকে এমনভাবে তোল্লাই দিতে পারে। যদিও তোল্লাই দেওয়া যে আসল উদ্দেশ্য নয় তা প্রমাণ করে দিল শিমুল।

kar kache koi moner kotha serial story plot have changed showing soft corners of shimuls mother in law

আজকের প্রতিবেদনেই আপনারা দেখতে পাবেন, স্বভিমানি শিমুল তার বাবার দেওয়া শিক্ষা মাথায় নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাবে। সে স্পষ্টই জানিয়ে দেবে যে, সে এককথার মানুষ। পরাগ তাকে বার কয়েক আটকানোর চেষ্টা করলেও সে স্পষ্টই জানিয়ে দেয় প্রয়োজনে টিউশনি করে খাবে তবু শ্বশুরবাড়ির মুখ আর দেখবেনা। এখন দেখার বিষয় এই যে, এরপর কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে সাদামাটা শিমুল?

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর