বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের অশান্ত মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raout) আজ রবিবার বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন। তিনি বলেন একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকারের ‘মৃত্যু পরোয়ানা’ জারি করা হয়েছে এবং এটি আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে ভেঙে পড়বে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা (Shiv Sena) এর অন্যতম প্রধান নেতা রাউত দাবি করেন, শিবসেনা শুধুমাত্র আদালতের আদেশের জন্য অপেক্ষা করছে। এবং আদালতে তাঁদের জয় হবেই।
সুপ্রিম কোর্টের আসন্ন রায়ে শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠীর ১৬ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে ধরে নিয়ে সরকার পতনের জল্পনা শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরেই। প্রশ্ন হল, শিন্ডের মুখ্যমন্ত্রিত্ব চলে গেলে মহারাষ্ট্রের সিংহাসন কার দখলে যাবে?
আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছে তিনটি নাম—বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ, এনসিপির অজিত পাওয়ার এবং শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে। শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিতের এনসিপির চল্লিশ জন বিধায়ককে ভাঙিয়ে এনে বিজেপি বিকল্প সরকার গড়বে, এমন জল্পনা এখন তুঙ্গে। এনসিপির বিক্ষুব্ধ শিবিরের বক্তব্য, সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হবেন অজিত।
এদিকে, বিজেপি শিবিরের দাবি, আবারও মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন দলের শীর্ষ নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। বর্তমানে উপমুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবিশ মহারাষ্ট্রে দু’বার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। গেরুয়া শিবিবের লক্ষ্য ২০২৪-এর এপ্রিল-মে’তে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই বিধানসভার নির্বাচন করিয়ে নেওয়া। ততদিন এনসিপির অজিত গোষ্ঠীর সমর্থনে সরকার চালাবেন ফড়ণবিশ। এছাড়া শিন্ডের বিধায়কদেরও মন্ত্রিত্ব দিয়ে সমর্থন আদায়ের পরিকল্পনা সেরে রেখেছে পদ্ম শিবির।
মুখ্যমন্ত্রী করা না হলে অজিত পাওয়ার কি বিজেপির সঙ্গী হবেন? মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলের খবর, পরিস্থিতি যে জায়গায় গিয়েছে তাতে শরদ পাওয়ারের ভাইপোর পিছু হঠার সুযোগ কম। এনসিপির বেশিরভাগ বিধায়কই সুগার বেল্ট অর্থাৎ আখ চাষ এবং চিনি কারখানা বহুল এলাকার। তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই, আয়করের তদন্ত চলছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাত থেকে বাঁচতে তাঁরা বিজেপির হাত ধরতে মরিয়া। দিন কয়েক আগে মহাজোটের শরিক নেতাদের কাছে এই কথা বলেছেন শরদ পাওয়ারও।