বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছিল বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে। আর আজ ওনাকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল নেতৃত্ব। ওনার জায়গায় নতুন সভাপতি করা হয়েছে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহয়াপাত্রকে। শিশির অধিকারীকে দেওয়া হয়েছে চেয়ারম্যানের পদ।
শুধু তাই নয়, আজ তৃণমূলের তরফ থেকে একটি তালিকা জারি করা হয়েছে, সেখানে পূর্ব মেদিনীপুরের ১৮ টি বিধানসভা এলাকার জন্য কয়েকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সেখানে অধিকারী পরিবারের আরেক সদস্য তথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে জেলা সংগঠনের কোনও দায়িত্বে রাখা হয় নি।
রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে অধিকারী পরিবারের সাথে দূরত্ব বাড়ছিল তৃণমূলের। আর সেই কারণে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। প্রথমে সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসনের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। এরপর তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা সাংসদ শিশির অধিকারীকে DSDA থেকে অপসারণ করা হয়। আর আজ শিশির বাবুকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কাঁথিতে সভা করেছিল তৃণমূল। সেই সভায় প্রধান বক্তা ছিলে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় আর রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই সভায় শিশির অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তিনি উপস্থিত থাকেন নি। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি হাঁটতে পারছেন না, সেই কারণে সেখানে যেতে পারবেন না।
জানিয়ে রাখি, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অধিকারী পরিবার আর মেদিনীপুরে সমীকরণ বদলাচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের একের পর এক তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। আর এরমধ্যে শিশির অধিকারীকে পদ থেকে সরানোর পর নতুন করে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।