স্কুলের খরচ সম্পূর্ণ ফ্রি!পাহাড়ের কোলে থাকা এই গ্রাম যেন এক্কেবারে ছবির মত!কোথায় আছে জানেন?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : “দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া, একটি ধানের শিষের উপরে একটি শিশিরবিন্দু…,” কবিগুরুর এই কবিতার অংশ বাস্তবেও কিন্তু অনেকটাই মিলে যায় আমাদের সাথে। আমরা যারা ঘুরতে যেতে পছন্দ করি, তাদের কাছে ভ্রমণ মানেই দূরে কোথাও কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসা।

বাংলার শুশুনিয়া পাহাড় (Susunia Hill)

তবে আমাদের বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এমন অসংখ্য জায়গায় যে জায়গার নাম আমরা অনেকেই শুনিনি। তবে সেসব জায়গার প্রাকৃতিক বৈচিত্র ও প্রকৃতির অবর্ণনীয় লীলাখেলা আমাদের প্রতি মুহূর্তে বাকরুদ্ধ করে। ঠিক তেমনই একটি জায়গা হল আমাদের বাংলার শুশুনিয়া পাহাড় (Susunia Hill)।

আরোও পড়ুন : বদল আসছে ব্যাঙ্কের FD’তে , পাল্টাচ্ছে সুদের হার! সেপ্টেম্বর পড়তেই নয়া পরিবর্তন এইসব নিয়মে

শুশুনিয়া পাহাড়ের নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ পর্যটক ঘুরতে যান এই পাহাড়ে। তবে পাহাড়ের কোলে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের অনেকের কাছেই অজানা। এই গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মনকে যেমন আন্দোলিত করবে তেমনই এখানকার শিল্প নতুন করে ভাবতে শেখাবে পর্যটকদের।

Susunia Hill

শোনা যায় আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকায় এক সাধু বাবা এসেছিলেন অনেক আগে। সাধু বাবার থাকার জন্য গ্রামের বাসিন্দারা স্থাপন করেন একটি পাতার কুটিরের। এরপর ধীরে ধীরে সাধু বাবার চেষ্টায় বদলাতে থাকে গ্রামের চিত্র। এই সাধু বাবা ১৯৯১ সালে এসেছিলেন শিউলিবোনায় (Shiulibona)। তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেন ‘প্রভুজি’ নামে।

আরোও পড়ুন : Prity Biswas: ‘এই জঘন্য দুনিয়ায় আতঙ্কে রয়েছি’, ১৮ দিনের মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন প্রীতি

এছাড়াও ‘ধারতি বাবা’ নামেও পরিচিতি লাভ করেছিলেন ওই সাধু বাবা। আদিবাসী শিশুদের শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে এই গ্রামে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেটি সম্পূর্ণ অবৈতনিক। শিউলিবোনা গ্রামের আদিবাসী শিশুরা ‘প্রভুজি’ সাধু বাবার আদর্শে পড়াশোনা করে এই স্কুলটিতে। অন্যান্য স্কুলের থেকে এই স্কুলটি অনেকাংশেই আলাদা।

Susunia Hill

পড়ুয়াদের জন্য বিশুদ্ধ জলের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শিক্ষক, পাশাপাশি সুন্দর মনোরম পরিবেশ এই স্কুলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সাধুবাবার প্রচেষ্টায় এই গ্রামের অবস্থা ও পরিস্থিতি বদলেছে অনেকটাই। চকচকে রাস্তা থেকে অবৈতনিক বিদ্যালয়, শুশুনিয়া পাহাড়ের (Susunia Hill) কাছে থাকা এই গ্রামে আপনারা ঘুরতে গেলে পাবেন এক অন্য অনুভূতি।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর