জল্পেশ মন্দিরের পাশে মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো শিব লিঙ্গ, তুমুল শোরগোল এলাকায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাটি খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এল সটান আস্ত শিবলিঙ্গ (shiva lingam)। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় শিব তীর্থ জল্পেশ মন্দিরের পাশ থেকেই। জল্পেশ মন্দিরের স্কাই ওয়াকের জন্য মাটি খোঁড়াখুঁড়ি চলার সময়ই হঠাৎ মাটির নীচে থেকে উদ্ধার হয় এই অনাদি শিবলিঙ্গটি।

জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার জেসিবি মেশিন দিয়েই চলছিল স্কাই ওয়াকের কাজ। সেই সময়ই হঠাৎ মাটির বেশ কিছুটা নীচে হঠাৎ একটি অদ্ভুত শব্দ হয়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় শিবলিঙ্গটি। শিবলিঙ্গের সঙ্গে মিলেছে লোহার তৈরি একটি ঘন্টাও। উদ্ধার হওয়া আড়াই ফুট উঁচু ও দু ফুট চওড়া শিবলিঙ্গটিও দেখতে অনেকটা জল্পেশ মন্দিরের অনাদি লিঙ্গের মতই। এটির ওজন দেড় কুইন্টাল।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। উদ্ধার হওয়া শিবলিঙ্গটি দেখতে আশেপাশের এলাকা থেকে ছুটে আসেন মানুষজন। জল্পেশ মন্দিরের পুরোহিতরা এসেই কাদা মাটি ধুয়ে পরিষ্কার করেন বিগ্রহটিকে। বিগ্রহ দর্শনের পাশাপাশি নতুন বিগ্রহটিকে পুজোও দেন অনেকেই। পরে মূর্তিটিকে সরিয়ে নেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ।

মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরিন দেব বলেন, ‘মূল মন্দিরে যে আদি লিঙ্গ রয়েছে এই লিঙ্গটিও দেখতে অনেকটা তারই মতই। মন্দিরে যতটা গভীরে শিব লিঙ্গ রয়েছে এই লিঙ্গটিও ঠিক ততখানি গভীর থেকেই উদ্ধার হয়েছে। এটি এখন মন্দিরেই রাখা হবে। নিয়ম মেনে বিগ্রহ স্থাপন করে নিত্যপুজো করবেন পুরোহিতরা।’ যদিও মূর্তিটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের হাতে তুলে দিয়ে এলাকায় প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের খনন কার্যের দাবি তুলেছেন কেউ কেউ। তবে পুরো ঘটনায় যে বিস্তর শোরগোল পড়ে গেছে এলাকায় তা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জল্পেশ মন্দিরে স্কাই ওয়াক তৈরির কথা চলছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের তরফে এই কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৫ কোটি টাকা।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর