বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মহারাষ্ট্রে আবারও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আজান নিয়ে ক্ষমতায় থাকা মহাজোটের সাথে বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (Bharatiya Janata Party) সোমবার থেকে নতুন করে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, শিবসেনার (Shiv Sena) নেতা পাণ্ডুরঙ সপকাল আজানের তুলনা মহা আরতির সাথে করেছিলেন। শিবসেনার দক্ষিণ মুম্বাইয়ের প্রধান সপকাল বলেন, আজান শুধু পাঁচ মিনিটের হয় আর মহা আরতির মতই গুরুত্বপূর্ণ, আজান শান্তি আর প্রেমের প্রতীক। শিবসেনার সহযোগী দল গুলোও এই বয়ানের সমর্থন করেছে। আরেকদিকে, বিজেপির নেতা অতুল ভতকলকর এই বয়ানে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, বালাসাহেব ঠাকরের যেই দলের রাস্তায় নামাজ পড়া নিয়ে আপত্তি ছিল, তাঁদের আজ আজান নিয়ে এত প্রেম কোথা থেকে এলো।
মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় সপকাল আজানের বিশেষত তুলে ধরেন এবং গীতা পাঠের কম্পিটিশনের মতো আজান কম্পিটিশনের কথা বলেন। উনি বলেন, ‘আমি মুসলিম বাচ্চাদের উৎসাহিত করার জন্য মুম্বাইয়ের এক এনজিওকে আজান কম্পিটিশন করানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
উনি বলেন, ‘আমি মেরিন লাইনের কবরস্থানের পাশে থাকি। রোজ আজান শুনি। এটি অনেক অদ্ভুত আর মনমোহক হয়। যে একবার শুনবে, সে দ্বিতীয়বার শোনার জন্য অপেক্ষা করবে। আর এটা নিয়েই আজানের কম্পিটিশনের কথা মাথায় আসে।” মহারাষ্ট্র সরকারের সহযোগী দল এনসিপি আর কংগ্রেস সপকালের বয়ানের সমর্থন করেছে। এনসিপি মুখপাত্র নবাব মালিক বলেছেন, গীতা পাঠের জন্য এরকম কম্পিটিশন মহারাষ্ট্রের অনেক জায়গায় আগে থেকেই হয়ে আসছে। সেখানে মুসলিম মেয়েরাও পুরস্কার জিতেছে। তাহলে আজান নিয়ে কম্পিটিশনে ভুল কোথায়?
আরেকদিকে, কংগ্রেসের মুখপাত্র সচিন সাওয়ান্ত বলেন, যার মনে ঘৃণা আছে, তাঁরা কখনো মানুষ আর ভগবানের মধ্যে সম্পর্ককে বুঝতে পারবে না। এটি একটি ভালো কাজ, এর জন্য সবাইকে উৎসাহিত করা দরকার।