বাংলা হান্ট ডেস্ক: কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে গিয়ে প্রায় লেজেগোবরে অবস্থা করেছিল সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলো। কখন যে কার সাথে জোট হচ্ছে কখন যে জোট ভেঙে যাচ্ছে তা অনেকটা পর্দার আড়ালে থেকে যেন সাপলুডো খেলার মত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার গড়ল ঠিকই কিন্তু তাতে বিজেপির আর কোন অংশিদারিত্ব থাকলো না।
শিবসেনা কে নিয়ে বরাবরই বিজেপির একটা জোট এবং সেই জোটের মধ্যে বাল্যকালের বন্ধুত্বের প্রশ্রয় ছিল। কিন্তু সেই বন্ধুত্বে চিড় ধরেছে বর্তমান সরকার গড়বার পর। যতই মোদীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করুক না কেন হিন্দুত্ববাদের প্রশ্নে েয গৈরিক শিবির এখনও এক, সেটা প্রমাণ হয়ে গিল শিবসেনার এই সিদ্ধান্তে।
শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত টুইট করে জানিয়েছেন তাঁরা সংসদ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সমর্থন জানাবেন। তিনি জানিেয়ছেন শরণার্থী হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে তারা যে একমত তা আগে থেকেই একটা আভাস ছিল। তবে এই বিল সংশোধন করে অমিত শাহ ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানোর যে পরিকল্পনা করছেন তাকে তাঁরা সমর্থন করেন না।কিন্তু কংগ্রেস এখন পড়েছে দোটানায় কোনদিকে সামলাবে তা বুঝে উঠতে পারছে না।
শিবসেনার এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস শিবির। কারণ মহারাষ্ট্রে এই শিবসেনার সঙ্গে জোট গড়েই সরকার গড়েছে তারা। জোট হলেও শিবসেনা যে হিন্দুত্ববাদ ছাড়তে নারাজ সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এই সিদ্ধান্তে। আর এই সিদ্ধান্তের পরেই অনেকটা শিবসেনার প্রকৃত আত্মা যেন বাইরে চলে এসেছে। কাজেই ভবিষ্যতে মহারাষ্ট্রে এই নিয়ে সমস্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেকেই শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকারের স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।