বাংলা হান্ট ডেস্ক : তাকে নিয়ে চর্চা সারা দেশজুড়ে। আর হবে নাই বা কেন, জীবনের বহু প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে আজ তিনি দেশের সেমি হাইস্পিড ট্রেনের (Semi High-speed Train) মহিলা পাইলট। তার লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সারা দেশ। বছর বাইশের শিবানী সিং-র গল্প (Success Story Of Shivani Singh) শুনলে স্যালুট জানাবেন আপনিও। চলুন জেনে নিই তার এই লেডি পাইলটের (Pilot) কাহিনী।
সূত্রের খবর, শিবানীর বয়স যখন সবে ১২ তখনই বাবাকে হারান তিনি। ছয় সদস্যের পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন তিনিই। এরপর বাবাকে হারিয়ে রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। বাড়ির সদস্যদের মুখের অন্ন জোগানোর জন্য বেছে নেন সেলাইয়ের কাজ। আর তার মাঝেই চলতে থাকে পড়াশোনাও।
এরপরেই শিবানী ভর্তি হন ডিপ্লোমা কোর্সে। সেখানে এই সেলাইয়ের দক্ষতা বেশ উপকারে আসে। দাসনার ভগবতী ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন তিনি। নিজের সংগ্রাম প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিবানী বলেন, ‘আমি একঘেয়েমি থেকে সেলাই শুরু করেছিলাম। অবশেষে, এটি আমাকে আমাদের সংসার চালাতে সহায়তা করত।’
আরও পড়ুন : ‘প্রমিস করছি, আর নয়…’, মিমির পর এবার চিরঞ্জিৎ! তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিত বিধায়কের?
এরপরেই শিবানীর সংযোজন, ‘তবে এমন একটি সময় এসেছিল যখন আমাকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। আমি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হই এবং আমার জমানো টাকা দিয়ে এটি সম্পন্ন করি।’ সূত্রের খবর, কলেজ ক্যাম্পাসিং এর সময়ই তার ভাগ্য খুলে যায়। বেশ কয়েক মাসের প্রশিক্ষণের পর আজ তিনি নমো ভারত ট্রেনের পাইলট।
আরও পড়ুন : সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, DA-র পাশাপাশি বাড়ল অন্যন্য ভাতাও! গ্র্যাজুইটি বেড়ে এখন ২৫ লক্ষ
নিজের সফলতা প্রসঙ্গে শিবানী বলেন, ‘আমরা আমাদের ইউনিফর্ম পরেছিলাম, নীল স্যুট এবং একটি লাল টুপি, যা আমাদের বিমানের পাইলটদের মতো মনে হচ্ছিল। এটা এখনও আমাকে শিহরিত করে। প্রধানমন্ত্রীর পতাকা নাড়াতে দেখা এবং জনতার উল্লাস।’ তিনি আরও বলেন, প্রথমে তাদের সিমুলেটর এবং পরে আসল ট্রেনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।