বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেশে ফের উস্কে উঠল হিজাব বিতর্ক (Hijab row)। এবার ঘটনা মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। বিজেপি শাসিত রাজ্যের একটি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল, ছাত্রীদের জোর করে হিজাব পরতে বাধ্য করার। ইতিমধ্যেই সেই স্কুলটিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এমনটা চলতে দেওয়া হবে না।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ৩১ মে মধ্যপ্রদেশ সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দামো অঞ্চলের ওই স্কুলটিকে নিয়ে। আসলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ওঠে, ওই স্কুলের পোশাকই এমন যা অনেকটাই হিজাবের মতো। এই পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এক জনসভায় ভাষণ দিতে যান ছত্রপুর জেলায়। ওই সভাতেই তিনি মুখ খোলেন ওই স্কুলকে ঘিরে। জানান, স্কুলটিতে ছাত্রীদের যে পোশাক পরতে বাধ্য করছে সেখানে একটি হেড স্কার্ফও রয়েছে। এই স্কুলটির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির কথাও বলেন শিবরাজ।
এদিন তিনি বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি দামোর ওই স্কুলে মেয়েরা মাথায় স্কার্ফ বেঁধে ক্লাস করতে আসে। ওখানে এক এমন মানুষের কবিতা পড়ানো হচ্ছে, যিনি দেশকে বিভক্ত করার কথা বলতেন। আমি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, মধ্যপ্রদেশে এই জিনিস চলবে না। এখানে কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৈরি করা শিক্ষাপদ্ধতিই অনুসরণ করা হবে।’
কী ছিল আসল ঘটনা? স্কুলছাত্রীদের জোর করে পরানো হচ্ছে হিজাব। শুধু তাই নয়, স্কুলের কিছু ভাল রেজাল্ট করা মেয়েকে হিজাব পরিয়ে তাদের ছবিও পোস্টারে ছেপে ভাইরাল করা হয়েছে! এমনই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) দামো জেলার একটি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে। অনেকেরই দাবি, হিজাব পরা মেয়েগুলি আদৌ মুসলিম নয়। তবু তাদের জোর করে পরানো হয়েছে হিজাব!
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা জেলাশাসকের নজরে এনেছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রধান, প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। তার পরই ওই ছাত্রীদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন দামো জেলার এক শিক্ষা অধিকর্তা। তিনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কারও নাকি কোনও অভিযোগই নেই। যে ছবি নিয়ে এত বিতর্ক, সেই ছবির মেয়েরা হিজাব নয়, ওড়না নিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছেন বলেও জানান তাঁরা।
বিশেষ সূত্রে খবর, বিতর্কের কেন্দ্রে যে গঙ্গা যমুনা হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, সেই স্কুলেরই এক ছাত্রীর দাবি, ‘আমাদের স্কুলের ড্রেস কোডেই রয়েছে সালোয়ার-কুর্তার সঙ্গে ওড়না নিতেই হবে। কিন্তু ওড়না নিতে ভুলে গেলেও স্কুলে এমন কিছু শাস্তি দেওয়া হয় না। এই ওড়না নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমাদের কোনও অভিযোগ নেই।’