বাংলা হান্ট ডেস্ক : ক্যাব অর্থাত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মাধ্যমে দেশে হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে অদৃশ্য বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে। এমনই অভিযোগ তুলেছিল শিবসেনা। সোমবার লোকসভা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের খসড়া পেশের সময়েই শিবসেনার মুখপত্র সামনাতে মোদী সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে ক্যাবের বিরোধিতা করেছিল শিবসেনা। কিন্তু সোমবার মধ্যরাতে অনেক টানাপড়েন পর যখন কেন্দ্রের তরফে লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করানো হয় ঠিক তার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ভোলবদল করল শিবসেনা।
যে শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির এখন আদায় কাঁচকলা সম্পর্ক সেই বিজেপি সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশকে একবাক্যে সমর্থন করেই ফেলল শিবসেনা। আর এই নিয়েই কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তাহলে কি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে শিবসেনার ভাঙা সম্পর্ক আবার জোড়া লাগতে চলেছে, নাকি এটা নেহাতই সমর্থন তা নিয়ে প্রশ্ন বানে জর্জরিত শিবসেনা।
তবে এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাত্কারে বলেন, ”দেশের স্বার্থে আমরা এই বিলকে সমর্থন করেছি”। একসমযে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী সাওয়ান্তের এই মন্তব্যকে সাদরে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি। দেশের স্বার্থ বুঝে তবেই শিবসেনা সমর্থণ করেছে বলে জানানো হয় বিজেপি তরফে।
দেশের অন্দরে এই বিল পাশ নিয়ে ধর্মীয় যুদ্ধের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।আসলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাজেশ থেকে আসা অমুসলমানদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়েই বিরোধিতা শুরু করেছে বিরোধীরা। এমনকি দশকের পর দশক ধরে মহারাষ্ট্রে বিজেপির জোট বন্ধু শিবসেনার মুখেও একই কথা।
যেহেতু অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জির তালিকা থেকে ইতিমধ্যে উনিশ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে তাই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হলেই আরও বিপদ হতে পারে এমনটাই মনে করছে কেউ কেউ, যদিও উত্তর পূর্বের নাগরিকদের ও চিন্তার কারণ নেই এমনটাই জানিয়েছেন অসমের রাজ্যসভার সদস্য বিশ্বজিত দায় মারি।