বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিককালে স্কুল সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত মামলা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। একের পর এক চাকরিপ্রার্থীরা যখন ক্রমশ আন্দোলনের পথে নেমে চলেছে, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ক্রমশ দেওয়ালে পিঠ ঠেকছে রাজ্য সরকারের। বিরোধী দলগুলি এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সরকারের ওপর ক্রমশ যখন চাপ সৃষ্টি করে চলেছে, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এদিন শিক্ষা মেলায় রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হল। এ বছরে পাস হওয়া সকল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা শিক্ষিত বেকার হয়ে গেল বলে এদিন মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গতকাল গোটা রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়জ যেখানে প্রায় 86 শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করে। এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শিক্ষা মেলা অনুষ্ঠানে যোগদান করতে এসে সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অংশগ্রহণ করে এই মেলায়, যেখানে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে শোভনদেব ছাড়াও ফিরহাদ হাকিম এবং হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন।
মঞ্চে উঠে সকলের সামনেই শোভনদেব বলেন, “গতকাল মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়েছে। এ বছর পরীক্ষায় 12 লক্ষ পড়ুয়া অংশগ্রহণ করেছিল, যেখানে পাশ করেছে 86%। এরা সকলেই শিক্ষিত বেকারে পরিণত হল। এরপর সকলে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক এবং মাস্টার্স পরীক্ষা দেবে। কিন্তু বর্তমানে স্নাতক পাশ করেও চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এরা সেই বেকার ঘুরে বেড়াবে।” তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের পর গোটা রাজ্য জুড়ে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। তিনি যে একপ্রকার রাজ্যে চাকরি না থাকার প্রসঙ্গটিকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন, সে বিষয়ে মত প্রকাশ করতে থাকে বিরোধী দলগুলি।
তবে সেই বিতর্ককে কিছুটা কমিয়ে পরবর্তী ক্ষেত্রে অপর এক নেতা হুমায়ুন কবীর বলেন, “বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে স্নাতক কিংবা মাস্টার্স ডিগ্রী থাকলেও চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে পড়াশোনার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণও প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।” অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে এদিন শোভনদেবের বক্তব্যর অপর দিকটি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। যার মাধ্যমে বলা হয়, “আসলে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কারিগরি শিক্ষার ব্যাপারটি তুলে ধরার জন্য এহেন মন্তব্য করেন।”