শুটআউট! দিনেদুপুরে গুলি চলল নৈহাটিতে, নিহত তৃণমূল কর্মী, থমথমে এলাকা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নৈহাটিতে (Naihati) দিনে দুপুরে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হলেন এক ব্যবসায়ী, তথা তৃণমূল কর্মী। শুক্রবার দুপুরে এই শুট আউটের ঘটনা চাউর হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। জানা যাচ্ছে, নৈহাটির গৌরীপুর এলাকায় আজ আচমকা গুলি চলেছে। হঠাৎ করে মাথায় গুলি এসে লাগে সন্তোষ যাদব নামে এক ব্যক্তির। গুলিবিদ্ধ হওয়ার সাথে সাথেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। জানা যাচ্ছে মৃত সন্তোষ যাদব স্থানীয় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে দিকে স্থানীয় বিধায়ক জানিয়েছেন নিহত সন্তোষ এলাকার একজন তৃণমূল কর্মী। 

আজ ঠিক কি ঘটেছিল নৈহাটিতে (Naihati)?

জানা যাচ্ছে শুক্রবার দুপুরে নৈহাটির (Naihati) গৌরীপুর এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। আচমকা কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে চড়াও হয় তাঁর ওপর। এলোপাথাড়ি হামলা চালানো হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। প্রথমে একটি গুলি চালানো হলে সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যবসায়ী নিজেকে প্রতিরোধ করেন এবং দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রিভলবারও কেড়ে নিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

পরপর চার রাউন্ড গুলি চালায় বাকি দুষ্কৃতীরা। তার মধ্যেই একটি গুলি এসে লাগে সন্তোষ যাদবের মাথায়। তখনই সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত তাঁকে ভর্তি করা হয় নৈহাটি (Naihati) স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দিনে দুপুরে খাস নৈহাটিতে এমন ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। খবর মিলতেই ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে নৈহাটি থানার পুলিশ।

আচমকা, ছেলের এমন পরিণতিতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সন্তোষের মা। হাসপাতালে ছেলের নিথর দেহ দেখে তিনি খুনি হিসেবে হিসাবে দায়ী করেছেন রাজেশ নামের একজনকে। তিনি জানিয়েছেন ওই রাজেশ তাঁর ছেলের শত্রু। সে-ই তাঁর ছেলেকে খুন করেছে। সন্তোষের মায়ের বয়ানের উপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যে পুলিশ রাজেশের খোঁজ শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: আরও আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা! আইসিএসই, আইএসসি-র প্রশ্নপত্রের সুরক্ষায় আসছে বিশেষ অ্যাপ

নৈহাটির এই শুটআউট-এর ঘটনা সামনে আসতেই ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন সাংসদ তথা ভাটপাড়ার দাপুটে নেতা অর্জুন সিং এর বিরুদ্ধে। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, ‘অর্জুন সিং দেখতে পাচ্ছেন ভাটপাড়া-নৈহাটি থেকেও তাঁর পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। তাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’

তৃণমূল সাংসদের আরও হুঁশিয়ারি, ‘ও তো ২৬ সালেও জিতবে না। ও দাঁড়াক কিংবা ওর ছেলে এসব সমাজবিরোধীদের কেউ ভোট দেবে না।’ অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, নিহত সন্তোষ-ও হামলাকারী হিসাবে যার নাম উঠেছে সেই রাজেশ তৃণমূল কর্মী। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই ফল।’ পাল্টা জবাবে পার্থ জানিয়েছে, ‘গৌরীপুর এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিলেই জানা যাবে, রাজেশ কোন দল করে?’