বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয়ে (Meghalaya) আজ ভোটগ্রহণ। বিধানসভায় মোট আসনের সংখ্যা ৬০। কার দখলে যাবে পাহাড়ের রাজ্য। সকলের নজর সেদিকে। এদিকে ভোটের দিন সকালেই মেঘালয়ে বুথ (Booth) দখলের চেষ্টায় চলল গুলি। এমনটাই অভিযোগ উঠে আসছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী গুলি চলার ঘটনায় দুই এনপিপি (NPP) সমর্থক আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য।
জানিয়ে রাখি, মেঘালয়ে এই প্রথমবার লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটপূর্বে একাধিকবার সেখানে জনসংযোগে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। সে রাজ্যে সরকার গঠনের বিষয়ে আশাবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মুকুল সাংমার নেতৃত্বে কতটা সফল হবে বাংলার শাসকদল! নজর সকলের। অন্যদিকে, আরেক রাজ্য নাগাল্যান্ডেও নির্বাচন আজ পাশাপাশি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন।
সোমবার সকাল থেকেই সাগরদিঘিতে (Sagardighi) উপনির্বাচনে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে আসছে। নির্বাচন শুরু হতে না হতেই বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহার বিরুদ্ধেও বিধিভঙ্গের অভিযোগ সামনে এসেছে।
সূত্রের খবর, সেখানের সামসাবাদ হাইস্কুলের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তা নিয়ে ঢুকে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। তবে দিলীপবাবুর পালটা অভিযোগ নিয়ম ভাঙছেন পুলিশেরা। দাবি, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে নিয়ম না মেনেই ঢুকে পড়ছে পুলিশ। এরপর পুলিশকে সরিয়েও দেন বিজেপি প্রার্থী। কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থী কেউই নিজেদের ওপরে আসা অভিযোগ মেনে নেননি।
কংগ্রেস প্রার্থীর দাবি, “পুলিশ দিয়ে প্রথমে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। পারেনি। আর কোনও উপায় নেই। তাই এখন বলছে আমি বুথে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করেছি।” অন্যদিকে, ৫৩ নম্বর বুথেও অশান্তির অভিযোগ ওঠায় নির্বাচন কমিশন ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেয়।
হাইলাইটস : নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সকাল ৯টা পর্যন্ত মেঘালয়ে ভোট পড়েছে ১০.৮৮ শতাংশ। অন্যদিকে ওই একই সময় পর্যন্ত নাগাল্যান্ডে ভোটদানের হার ১৩.৫৫ শতাংশ।
মেঘালয়ে ৬০ টি আসনের মধ্যে একটি আসনে ভোট হচ্ছে না সোমবার। সোহিয়ং কেন্দ্রের এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সেই কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে না।