বাংলাহান্ট ডেস্ক : রেশন কার্ড (Ration Card) এর গুরুত্ব সবথেকে বেশি টের পাওয়া গেছে এই লকডাউনে। কিছুদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন আগামী দিনে রাজ্যে যাতে রেশন বন্টন পদ্ধতিতে কোন অভিযোগ না আসে তার জন্য স্বচ্ছতা আনতে এসএমএস ওটিপি অথবা বায়োমেট্রিক পদ্ধতি আনতে চলেছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই সমস্ত রকম প্রক্রিয়া সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এবার ডিজিটাল রেশন কার্ডের ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। রেশন বিলির ক্ষেত্রে অস্থায়ী সমাধানের পথ বেছে নিল ডিলাররা। জানানো হয়েছে, যাতে কোনও মানুষকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে না হয়, তাঁরা যাতে সঠিকভাবে নিজের প্রাপ্য রেশন পান, তার জন্যই এবার থেকে আধার কার্ড দেখালেই মিলবে রেশন। আগামী মাস অর্থাৎ জুলাই থেকেই এই নিয়ম কার্যকরী হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের স্বপ্নের প্রকল্প দুয়ারে রেশন বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই সমস্যার কথা জানিয়ে আসছেন ডিলাররা। এবার সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গ রেশন ডিলারলের জয়েন্ট ফোরামের তরফে জানানো হয়, যাঁদের রেশন কার্ড রয়েছে, তাঁরা যাতে রেশন থেকে বঞ্চিত না হন, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নয়, আধার কার্ড নম্বর দেখালেই রেশন পাওয়া যাবে। মানুষের অসুবিধা দূর করতেই মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সেই সমস্যা আবারও তুলে ধরেন তাঁরা। তাঁরা আবারও দাবি জানিয়ে বলেন যে, দোকান থেকে আগের মতো রেশন দেওয়া হোক। এ বিষয়ে তাঁরা দিল্লিতে খাদ্য মন্ত্রকের কাছেও নিজেদের সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। অগাস্ট মাসে ৪ দিন রেশন দোকান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শেষ পর্বে ২ আগস্ট দিল্লি গিয়ে সংসদে ধরনা দেওয়ার কথা। সেই কর্মসূচি চলবে ৩ দিন ধরে।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেশন বিলির ক্ষেত্রেও সমস্যার কথা তুলে ধরেন ডিলাররা। তাঁরা রেশন ডিলারদের অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম দুই আঙুলের ছাপ না মিললে পরের দুই আঙুলের ছাপ মিলিয়ে রেশন দেওয়া যেতে পারে। এর স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ডিলাররা।