বাংলাহান্ট ডেস্ক: মনে করুন সারা দিনের কাজকর্মের ফাঁকে এককাপ চা খেতে গেলেন কোথাও। যেই চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে দেখলেন চা জুড়িয়ে জল হয়ে গেছে। আপনি তখন কি করবেন? দোকানদারের সাথে হয়তো একটু বাকবিতন্ডা হবে। কিন্তু একই ঘটনা যদি ঘটে থাকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে! তখন? হ্যাঁ! ঠিকই পড়েছেন। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হলো ঠান্ডা হয়ে যাওয়া চা। এরপরই শোকজ লেটার ধরানো হলো সাপ্লাই অফিসারকে।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের সাথে। একের পর এক জনসভা, মিটিংয়ের জেরে দিনভড় ব্যস্ত তিনি। সারাদিন ঠিক করে খাবার সময় পান না। এরই ফাঁকে বিমানবন্দরের লাউঞ্জে এসেছিলেন প্রাতরাশ সাড়ার জন্য। আর সেখানেই তাকে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া চা পরিবেশন করার অভিযোগ উঠল। এমনকি যে সরকারি আধিকারিকরা এই চা পরিবেশনের দায়িত্বে ছিলেন তাদের কারণ দর্শাতে চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এই চা পান করে দেখেননি।
ঘটনায় অভিযুক্ত সরকারি কর্তার নাম রাকেশ কানাউহা। জুনিয়র সাপ্লাই অফিসার তিনি। খাজুরাহো প্রশাসনের তরফ থেকে তাকে শোকজ নোটিস জারি করা হয়েছে। কানাউহার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি ভিভিআইপি ব্যক্তির দেখভালের জন্য সঠিক বন্দোবস্ত করেননি। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এই চা খাননি ঠিকই, কিন্তু যদি খেতেন তাহলে তাকে ঠান্ডা চাই খেতে হতো। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মহল কে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত ব্যস্ততার ফাঁকেই প্রাতরাশ সারতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এতটাই ব্যস্ত ছিলেন তিনি যে চা খাওয়ার সময় পাননি। কিন্তু এই ব্যাপারে প্রশাসনের অতি সক্রিয়তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধীরা। চাপের মুখে পড়ে অবশেষে শোকজ নোটিশ বাতিল করে প্রশাসন।