বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিনোদন তথা রাজনৈতিক জগৎ এখন উত্তাল নয়া ত্রিকোণ কাঞ্চন মল্লিক (kanchan mullick), পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় (pinki banerjee) এবং শ্রীময়ী চট্টরাজকে (shreemoye chattaraj) নিয়ে। গত কয়েকদিনে যেন ঝড় বয়ে গিয়েছে তিনজনের উপর দিয়ে। কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের গুঞ্জন প্রকাশ্যে আসার পর অভিনেতা বিধায়ক কাঞ্চনের স্ত্রী পিঙ্কিও অভিযোগ করেছেন তাঁর স্বামীর সঙ্গে শ্রীময়ীর সম্পর্ক নিয়ে।
সংবাদ মাধ্যমে পিঙ্কি অভিযোগ করেছেন, শনিবার কাঞ্চন ও শ্রীময়ী তাঁকে অনবরত ফোন করতে থাকেন দেখা করার জন্য। কিন্তু সে সময় তিনি কথা বলার মতো অবস্থাতেও ছিলেন না। এরপরেই রাস্তায় পিঙ্কিকে পেয়ে গাড়ি আটকান কাঞ্চন ও শ্রীময়ী। সেই সময় পিঙ্কির সঙ্গে তাঁদের আট বছরের ছোট ছেলেও ছিল। পিঙ্কি অভিযোগ করেন, রাস্তায় হুমকি দেওয়ার সময় শ্রীময়ী তৃণমূলের এক বড় নেতার নামও করেছিলেন।
অপরদিকে এই অভিযোগ সম্পূরশণ নস্যাৎ করে দিয়েছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। তাঁর বক্তব্য, সম্পূর্ণটাই প্রচারের আলোয় আসার জন্য করছেন পিঙ্কি। তাঁকে অভিনয়ের মাধ্যমে কেউ চেনে না। তিনি শুধুই কাঞ্চনের স্ত্রী। আর সেই পরিচিতির জন্যই তাঁর কাছে এত ফোন যাচ্ছে। কিন্তু শ্রীময়ীর কথায়, তিনি নিজে একজন স্বতন্ত্র মানুষ। তাঁর একটা আলাদা পরিচিতি আছে। এই সব ‘গুজবে’ সেটা নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু পিঙ্কি তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি নন। বরং তিনিই হুমকি দিচ্ছেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ীকে।
সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছেন কাঞ্চন মল্লিকও। তিনিও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্ত্রী পিঙ্কির দিকেই। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর মাত্র ২০ দিন সংসার করেছেন পিঙ্কি। কাঞ্চনের মায়ের সঙ্গে থাকা যায়না বলে নাকি বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে। কিন্তু সেই সময় কোনো কথা বলেননি অভিনেতা।
কাঞ্চন এও দাবি করেন, পিঙ্কির দিদা বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ও ঘটনাটা শুনে বলেছেন সামনাসামনি কথা বলে মিটিয়ে নিতে। অপরদিকে সংবাদ মাধ্যমে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অভিযোগ করেন, কাঞ্চন ততটা নয়। শ্রীময়ীই পিঙ্কির দিকে তেড়ে যাচ্ছিলেন।
সংবাদমাধ্যমে শ্রীময়ীর অভিযোগ, তাঁর ও কাঞ্চনের স্নেহের সম্পর্ককে ঘুরিয়ে পরকীয়ার তকমা দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর যদি কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে নিজের নাম জড়ানোরই হত তবে তা ভালভাবেই জড়াতেন বলে মন্তব্য করেছেন শ্রীময়ী। পরকীয়ার আশ্রয় নিতেন না তিনি। শ্রীময়ী মন্তব্য করেন, এই ধরনের ‘মিথ্যে’ অপবাদ শুনতে শুনতে লজ্জায় ঘেন্নায় আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করছে তাঁর।