বাংলাহান্ট ডেস্ক: জন্মদিন মায়ের। কিন্তু নজর কেড়ে নিল ছেলে। তা ছেলে যদি শ্রেয়া (Shreya Ghoshal) পুত্র দেবযানের (Devyaan) মতো হয় তবে তো সমস্ত লাইমলাইট তার দিকে যাবেই। মা যতই জনপ্রিয় গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল হোক না কেন, ছেলেও কিন্তু কোনো অংশে কম যায় না। হ্যাঁ, গান এখনি সে গাইতে পারে না ঠিকই, তবে দুলে দুলে নাচ তো দেখাতে পারে!
হ্যাঁ, শ্রেয়ার সাম্প্রতিক শেয়ার করা ভিডিওতে এমনি কাণ্ড দেখা গিয়েছে। আসলে শনিবার ছিল গায়িকার জন্মদিন। বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের নিয়েই জন্মদিন উদযাপন করেন শ্রেয়া। এদিনের টুকরো টুকরো মুহূর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তিনি। বাংলার মেয়ের জন্য কাঁসার থালা বাটিতে আদ্যোপান্ত বাংলা খাবারে সাজানো হয়েছিল জন্মদিনের মেনু।
শুধু তাই নয়, এদিন পাঁচ পাঁচটি কেকও আনা হয়েছিল বার্থডে গার্লের জন্য। তার মধ্যে থেকে বিশেষ ভাবে নজর কাড়ল ‘মাম্মা’ লেখা একটি কেক। বোঝাই যাচ্ছে, ছোট্ট দেবযানের তরফেই এই কেকটি এসেছে মায়ের জন্য। তাই সে কেকটিই কেটে জন্মদিন উদযাপন করেন শ্রেয়া।
ছেলেকে কোলে নিয়ে কেক কেটে এক টুকরো তাকে খাইয়ে দেন গায়িকা। মিষ্টি ক্রিম কেকের স্বাদ পেতেই দুলে দুলে সে কী নাচ দেবযানের! ছেলের কাণ্ড দেখে হেসে কুটিপাটি শ্রেয়া। একে একে পরিবারের সব সদস্যরাই দেবযানকে কেক খাওয়ান। ক্যাপশনে শ্রেয়া জানিয়েছেন, মা হওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম জন্মদিন। তাই দিনটা তাঁর কাছে খুব স্পেশ্যাল।
জন্মদিন শ্রেয়ার হলেও ভিডিওর কমেন্ট বক্সে নেটিজেনরা আদরে ভরিয়ে দিয়েছেন ছোট্ট দেবযানকে। খুদের দুলে দুলে কেক খাওয়ার ভিডিও দেখে আপ্লুত শ্রেয়ার অনুরাগীরা। এটাই গায়িকার জন্মদিনে অনুরাগীদের জন্য সবথেকে সুন্দর উপহার বলে জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
https://www.instagram.com/tv/CbCQqMmudDy/?utm_medium=copy_link
গত বছর ২২ মে মা হয়েছেন শ্রেয়া। ছেলের ছয় মাসের জন্মদিনে তার মুখ প্রথম প্রকাশ্যে আনেন গায়িকা। মায়ের কোলে চেপে লেন্সের দিকে তাকিয়ে পোজ দিয়েছে দেবযান। এক মাথা চুল, ডাগর চোখ আর মুখে একগাল হাসি, ছোট্ট দেবযানকে দেখে আদর করার ইচ্ছে হবেই হবে। মায়ের সঙ্গে চোখমুখের অনেকটাই মিল ছেলের।একরত্তির আনন্দ দেখে শ্রেয়ার মুখেও হাসি।
ছোট্ট দেবযান তো এখনো কথা বলতে পারে না, তাই তার হয়ে শ্রেয়াই ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমি দেবযান, আজ আমার ৬ মাস বয়স হল। এখন আমি ব্যস্ত আছি চারপাশের জগৎটাকে চিনতে, প্রিয় গান শুনতে, অনেক রকম ছবিওয়ালা বই পড়তে, বোকা বোকা জোক শুনে জোরে হেসে উঠতে আর মায়ের সঙ্গে গভীর আলোচনা করতে, মা আমায় ঠিক বুঝতে পারে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে ভালবাসা ও আশীর্বাদ পাঠানোর জন্য।’